তাঁকে গদ্দার, মীরজাফর তকমা দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। এমনকী স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না করেই শুভেন্দু ‘গদ্দার’ তকমা সেঁটে দিচ্ছেন, একইসঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়েও তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেত্রী। নিজের সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমি তো গাধা ছিলাম। এত সম্পত্তি করেছে, জানতামই না।’ এরই মাঝে তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর মদতে চারটি বাড়ি ভাড়া করে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
তবে এ নিয়ে শুভেন্দু নিজে এখনও মুখ না খুললেও বিনপুরের সভাতে তিনি ফের বলেন, ‘আমি আপনাদের বাড়িরই ছেলে। বাংলার উন্নয়ন চাইলে বিজেপিকে ভোট দিন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব সোনার বাংলা গড়ব আমরা।’
মঙ্গলবারও তিনি বলেন, ‘এ রাজ্যে শুধু মাফিয়া রাজ চলছে। বালি, কয়লা আর তোলাবাজিতেই জায়গা রয়েছে বাংলার। এ রাজ্যে জয় শ্রীরাম বললে শাস্তি পেতে হয়। সেই দিন আর থাকবে না।’
তৃণমূলের তরফে অবশ্য শুভেন্দুকে নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের দিয়ে ভোটের দিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের। তৃণমূলের বক্তব্য স্থানীয় ভাবে পুলিশকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও লাভ হয়নি। এত গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও শুভেন্দু কেন এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment