কলকাতা পুরসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারচুপি সহ একাধিক অভিযোগ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
প্রদেশ কমিটির সিনিয়র সদস্যরা, ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক এক সাংসদকে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, “রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য আগে থেকে সময় চেয়েছিলাম। উনি সন্ধ্যে ৬ টায় সময় দিয়েছিলেন।” পরক্ষণে নন্দীগ্রামের বিধায়ক যোগ করেন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের মতো এখানেও একজন তানাশাহি মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্ব চলছে। যাঁর সরাসরি নির্দেশে পুলিশ পরিচালিত হয়। যেখানে কোনও নিয়ম থাকে না। গণতন্ত্রের ন্যূনতম ব্যবস্থা এখানে থাকে না।
শুভেন্দু আরও যোগ করেন, “৫টা ১০ থেকে ৬ টা ২০ পর্যন্ত বিধাননগর কমিশনারেট সুপ্রতিম সরকারের নির্দেশে আইপিএস যাদবের নেতৃত্বে ৩০ জন বিজেপি কার্যকর্তাকে আটকে রাখতে আসে ৩০০ জন পুলিশ। গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরিশেষে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে আমরা মুক্তি পাই। আমরা সাড়ে ৬ টায় মুক্তি পাই। তাই দেরিতে রাজ্যপালের কাছে এসে পৌঁছই”।
তিনি অভিযোগ করেন, ভোটের নামে প্রহসন হয়ছে কলকাতায়। কলকাতার প্রকৃত ভোটারদের ২০ শতাংশও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। বাকিটা ছাপ্পা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভিডিয়ো ফুটেজ আছে যে এক একজন পাঁচ-সাতটা করে ভোট দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সিসিটিভি অচল ছিল অধিকাংশ জায়গায়।
শুভেন্দু বলেন, “আমি শুনছিলাম, তোলামূল পার্টির মালিক মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিতে গিয়ে বলছেন যে পুলিশকে ধন্যবাদ, কলকাতার জনতাকে নয়। বহিরাগতদের আটকে দেওয়ার জন্য এই ধন্যবাদ। নিজের দিকে আঙুল রেখে বিরোধী নেতা বলেন, “আমরা বহিরাগত? বহিরাগতের ব্যবসাটা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতদিন চালাবেন”? শুভেন্দু আরও অভিযোগ করেন, ২০০৫ সালে কলকাতা পুরভোটকে রিগিং ভোট বলা হয়। তবে এবার তৃণমূল সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এদিকে এর পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে শুভেন্দু অধিকারী গেলে তাঁর সঙ্গে বচসা বাধে পুলিশের। তাঁদের আটকানোর কারণ কী জানতে চেয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন শুভেন্দু। এদিকে তাঁদের জানানো হয় ভোট শেষের পর এখন তাঁদের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়।
Be the first to comment