যেখানেই যাব গীতা বিতরণ করব: শুভেন্দু অধিকারী

Spread the love

জাগরণ ছাড়া সমাজ এগোতে পারবে না। তাই জাগরণের পথে চলতে গীতাপাঠ, কৃষ্ণনামকেই বেছে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শনিবার সকালে নন্দীগ্রামে ব্রাম্ভণ প্রতিনিধিদের সেবা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে কৃষ্ণনাম জপ করেন শুভেন্দু। শুধু নিজে কৃষ্ণ নাম জপ করা নয়, সকলকে কৃষ্ণ নাম জপ করাতে এবং গীতাপাঠ করাতে ঘণ্টি, কাঁসর, গীতা বিলি করারও ঘোষণা করেছেন এই বিজেপি নেতা।

শুভেন্দু অধিকারীর প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে কৃষ্ণনাম জপ করার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। তৃণমূলে থাকাকালীন একাধিকবার তাঁকে গলায় খোল ঝুলিয়ে কীর্তন করতে দেখা গিয়েছে। কোথাও আবার গেরুয়া বসন পরে আরতি করতেও দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গিয়ে কৃষ্ণ নাম জপ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সকালে নন্দীগ্রামে ব্রাহ্মণ প্রতিনিধিদের সেবা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন শুভেন্দু। সেখানেই বক্তব্য দিতে উঠে তিনি খালি গলায় কৃষ্ণনাম জপ করতে শুরু করেন। তারপর সেখানে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, ‘জাগরণের পথ চলা শুরু হল। জাগরণ ছাড়া সমাজ এগোতে পারবে না। সমাজকে জাগরণ করতে এবার থেকে আমি যেখানেই যাব, সেখানেই ঘণ্টি, কাঁসর, গীতা বিতরণ করব।’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে গীতাপাঠ, কৃষ্ণনামের মধ্য দিয়ে সমাজকে জাগরিত করার বার্তা শুনে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত সকলেই আপ্লুত হয়ে পড়েন। শুভেন্দুর নামে জয়ধ্বনি করে করতালিও দেন তাঁরা।

যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সেই সমস্ত চর্চায় কান দিতে নারাজ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এদিন তিনি নন্দীগ্রামে ব্রাহ্মণ প্রতিনিধিদের সেবা কর্মসূচি থেকে শতাধিক ব্রাহ্মণের হাতে গীতা, শঙ্খ সহ পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন। বিধায়কের হাত থেকে এই ধরনের উপহার পেয়ে অভিভূত গ্রামের ব্রাম্ভণ সমাজ।

এদিন কৃষ্ণনাম ও গীতা, শঙ্খ বিলি শেষে জানকীনাথ মন্দিরে গিয়ে পুজোও দেন শুভেন্দু অধিকারী। পুজো দিয়ে বেরিয়ে বিধায়ক জানান, নন্দীগ্রামের সকলের মঙ্গল কামনাতেই তিনি পুজো দিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*