রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কী গ্রেফতার হতে চলেছেন? এখন রাজ্যজুড়ে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সদ্য নয়াদিল্লি সফরেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে এই উদ্বেগের কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। একদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিপল চুরির অভিযোগ, আবার প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছে ৷
এমনকী দিঘায় সমুদ্রের বাঁধ নির্মাণ থেকে সমবায় ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতিতেও তাঁর নামে অভিযোগ জমা পড়েছে। এইসব কারণেই শীঘ্রই গ্রেফতার হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী বলে ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ৷
ঠিক কী বলেছেন তিনি? বরাবরই শুভেন্দু বিরোধী বলে পরিচিত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। এবার নির্বাচনে শুভেন্দুর গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে দাপটের সঙ্গে লড়াই করেছেন। এবার অখিল গিরির কথায়, ‘অপেক্ষা করুন৷ আর এক থেকে দেড় মাস৷ তারপর দেখবেন বিশ্বাসঘাতকেরা কাঁদছে৷ ফাইলের পর ফাইল, শুধুই দুর্নীতি ৷ সব সামনে আসছে৷ প্রত্যেকটার তদন্ত হবে ৷ জড়িতরা গ্রেফতার হবে।’ ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নানা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার কাঁথি তৃণমূল কংগ্রেস ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডের সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ৷ সেখানেই শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবার সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি ৷ আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকেও ৷ ত্রিপল চুরির প্রসঙ্গ টেনে অখিলের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রের এখন এত দূরবস্থা যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ত্রিপল চুরি করছে ! পুরসভার গোডাউনে রাতের অন্ধকারে কেন্দ্রীয় বাহিনী কি করতে গিয়েছিল? কার কথায় গিয়েছিল? মুখ্যমন্ত্রীর সরলতা আর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছে৷ দিঘাতে সমু্দ্রে বাঁধ তৈরি করতে পাঁচশো কোটি টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওকে (শুভেন্দুকে) বলেছিল দেখভাল করতে৷ বালির ওপর ইঁট বিছিয়ে ঢালাই করে দিল! সমুদ্রের ঢেউয়ের কাছে সেসব টেকে নাকি? বিশেষজ্ঞরা সব ধরে ফেলেছেন।’
এরপরই বোমা ফাটিয়ে অখিল গিরি বলেন, ‘শুধু দিঘা নয়, পরিবহণ–সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের ফাইল আসছে৷ প্রত্যেকটা ফাইলের তদন্ত হচ্ছে৷ তাই ওদের কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে৷ দেখুন না, আর এক থেকে দেড় মাস৷ তারপর দেখবেন বিশ্বাসঘাতকরা কাঁদছে৷ কারণ তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না। অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবেই।’
Be the first to comment