কাঁথি পুরসভার ত্রিপল চুরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল সোমবার। রায়দান স্থগিত রাখল আদালত। এদিন সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তাঁর বেঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই মামলা।
কাঁথি পৌরসভা থেকে চলতি বছরের ২৯ মে ত্রিপল চুরি যায় বলে অভিযোগ ওঠে। দিনের বেলা ত্রিপল লরিতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুরসভার কর্মীরা তা ধরে ফেলেন। এর বিরুদ্ধে গত ১ জুন কাঁথি থানায় অভিযোগ জানান পৌর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না। এফআইআর-এ শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম ছাড়াও পৌরকর্মী ও এক নাইটগার্ডের নামেও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
ওই অভিযোগ খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী । ওই ঘটনায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ চঞ্চল নন্দীকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে চেয়েছিল ৷ কিন্তু গত ১৫ জুলাই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, চঞ্চল নন্দীকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ । চঞ্চল নন্দীর মামলাটির এখনও শুনানি চলছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে । সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে ।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেছিলেন, “ত্রিপল চুরির ঘটনায় সরাসরি শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী যে জড়িত তার কোনও প্রমাণ নেই । তবে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে এঁরা আদৌ যুক্ত রয়েছেন কিনা সেটাই আদালতের বিচারের বিষয় ।”
প্রাথমিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের দাবিতে এবং ত্রিপল চুরি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী ৷ কিন্তু বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চ গত ১৪ জুন নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্ত প্রক্রিয়া যেমন চলছে তেমনই চলবে । তারপর মামলাটি শুনানির জন্য যায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে । সোমবার সব পক্ষের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর বিচারপতি মামলাটির রায়দান স্থগিত রেখেছেন ।
Be the first to comment