এবার দুর্গাপুজোয় কবে কবে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে, তা জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র জানিয়েছেন, আগামী ১৫ অক্টোবর (দশমী) থেকে আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারবেন পুজো উদ্যোক্তারা।
দুর্গাপুজো নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার। সেখানে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃ্ঙ্খলা বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি উঠে এসেছে। পুলিশের ধারণা, গতবারের মতো এবার পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ বজায় থাকলেও এবার ভিড় বেশি হবে। সেজন্য ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাড়তি জোর দিতে হবে। বাড়তে পারে গাড়ির সংখ্যাও। নিয়ম লঙ্ঘন করে যাতে গাড়ি পার্কিং না করা হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। মোড়ে-মোড়ে আইন-শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতির উপর কঠোর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় বিভিন্ন ঘাটে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবারও পুজো মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ জোন থাকছে। দর্শনার্থীরা পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, বড় মণ্ডপে একসঙ্গে সর্বাধিক ৪৫ জন ঢুকতে পারবেন। ছোটো মণ্ডপে সেই সংখ্যাটা ১০ থেকে ১৫ জনের মধ্যে থাকবে। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এবার দুর্গাপুজোয় দেওয়া যাবে অঞ্জলি। সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করা যাবে।
তবে করোনাভাইরাস টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেই সেই অনুমতি মিলবে। সঙ্গে মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে এবং মাস্ক পরে থাকলে পুজোর যে কোনও কাজ করা যাবে। কোনওরকম বাধা থাকবে না। তবে সেই নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সেই নিয়ম ভঙ্গ হলে সংশ্লিষ্ট পুজো বাতিল করে দিতে পারবে পুলিশ। ঠিকমতো নিয়ম পালনের দায়িত্ব থাকবে পুজো কমিটির উপর। পুরো বিষয়টির উপর পুলিশকেও নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment