বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানাল হল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, হাঁসখালির গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইডিং কমিটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে CBI-এর তরফে। সোমবার হাঁসখালিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা করেছে CBI। সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, কোনওভাবেই নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যাবে না। এই মর্মে পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ মে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে CBI জানিয়েছে, ফরেন্সিকের কিছু বিষয় এখনও কিছু বাকি রয়ে গিয়েছে। আরও কিছু সময় চাওয়া হয়েছে এই ঘটনার তদন্তের জন্য। এই মুহূর্তে রিপোর্টে বাইরে প্রকাশ না করারও আর্জি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। পাশাপাশি হাঁসখালির এই কেসটি নদিয়া থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করারও আবেদন জানানো হয় CBI-এর পক্ষ থেকে। আদালতের তরফ থেকে যদিও কেস স্থানান্তরিত করার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এর আগেই হাঁসখালিকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। এছাড়া নির্যাতিতার পরিবারের মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুধু মৃতার পরিবারই নয়, সাক্ষীদেরও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেছিলেন বিচারপতি। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের ‘সাক্ষী নিরাপত্তা স্কিম’ দ্রুত কার্যকর করারও নির্দেশ দেয় আদালত।
হাঁসখালির পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাইকোর্টে ভাদু শেখের খুনের ঘটনা এবং বগটুইকাণ্ডেরও শুনানি হয়। ভাদু শেখের ঘটনা অভিযুক্ত দু’জনের জামিন কেন মঞ্জুর করা হল, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নিম্ন আদালতে দুই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জানায় CBI। জানানো হয়, নিম্ন আদালতে কেস ডায়রি জমা করা হয়নি। তা সত্ত্বেও কী ভাবে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হল? প্রশ্ন তোলেন CBI-এর আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে আগামী সোমবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বগটুইকাণ্ডেও তদন্ত প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েন CBI-এর পক্ষের আইনজীবী। সিল করা খামে তদন্তের গতি জমা করা হয়েছে।
Be the first to comment