রোজদিন ডেস্ক:- কখনও ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’, কখনও ‘বাস্তিলের পতন’ আবার কখনও ‘চণ্ডীদাসের কবিতা’, আরজি কর কাণ্ডের পর ঠিক এভাবেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক শিবিরের সঙ্গে তাঁর দূরত্বও ক্রমে বাড়তে শুরু করে। অবশেষে বর্তমানে দলের সঙ্গে দূরত্ব কমল সুখেন্দু শেখরের। রাজ্যসভার সাংসদের বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেন তিনি। আর এই ঘটনায় ‘অনুঘটকে’র কাজ করলেন কুণাল ঘোষ।
সূত্রের খবর, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার সকালে দলের সাংসদ-মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন সুখেন্দুশেখরের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন। বিকেলে রাজ্যসভার সাংসদের নিয়ে যে বৈঠক রয়েছে, তাতে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে যেভাবে সুখেন্দু শেখর রায় পোস্ট করছিলেন, তাতে দলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তৃণমূলের কোনও বৈঠকে দেখা যায়নি সুখেন্দু শেখরকে। এমনকি তাঁকে ডাকা হয়নি কর্মসমিতির বৈঠকেও। অনেকেই ভেবেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোর রোষানলে পড়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় আসরে নামেন ‘কৌশলী’ কুণাল।
জানা যায়, সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সুখেন্দু। কুণাল তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ভুল স্বীকার করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি দেওয়ার জন্য। সূত্রের দাবি, কুণালের পরামর্শ মেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লেখেন সুখেন্দু। নিজের সেই সময়কার মানসিক অবস্থা বোঝাতে চিঠিতে নাকি নেত্রীকে সুখেন্দুশেখর এও লেখেন, যে আরজি করের ঘটনায় একজন মেয়ের বাবা হিসেবে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হয়েছিলেন। তারওপর নানা রকম খবরে তিনি আরও বিভ্রান্ত হয়ে প্রকাশ্যে একাধিক মন্তব্য করে ফেলেছিলেন।
চিঠি কালীঘাটে পৌঁছতেই মঙ্গলবার রাতে ডেরেক ও ব্রায়েন সুখেন্দুকে রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। বুধবার অর্থাৎ আজ তিনি যোগ দেবেন বৈঠকে। এছাড়াও এখন থেকে তৃণমূলের সব কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন।
Be the first to comment