পেগাসাস কাণ্ডে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট এধিন স্পষ্ট ভাবে বলে, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে বারংবার এই বিষয়ে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে পারে না কেন্দ্র। এই তদন্ত কমিটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব থাকবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রনের উপর। তদন্ত কমিটিতে থাকছেন ‘র’-এর প্রাক্তন প্রধানও। আট সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রধান বিচারপতির সাফ বক্তব্য, ‘আবেদনকারীদের অনেকেই পেগাসাসের সরাসরি শিকার। এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহারকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা কেন্দ্রের দায়িত্ব। আমি ভারতে গোপনীয়তার অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছি।’
প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, ‘আমরা তথ্যের যুগে বাস করি। প্রযুক্তি যখন গুরুত্বপূর্ণ তখন আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে .. গোপনীয়তার অধিকার রক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র সাংবাদিক ইত্যাদি নয়, গোপনীয়তা সমস্ত নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘গোপনীয়তার অধিকারের উপর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে সেই বিধিনিষেধগুলিকে সাংবিধানিক যাচাই-বাছাই মাধ্যমে যেতে হবে। আজকের বিশ্বে গোপনীয়তার উপর বিধিনিষেধ শুধুমাত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার কারণে আরোপ করা হয়। শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনে তা আরোপ করা যেতে পারে।’
প্রধআন বিচারপতি আরও বলেন, ‘এটা অনস্বীকার্য যে নজরদারির অধীনে এটি মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে। এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সঙ্গে যুক্ত। এই জাতীয় প্রযুক্তি সংবাদপত্রের অধিকারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মিথ্যা তদন্ত ও সত্য উদঘাটনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ভারত সরকারের এই প্রেক্ষিতে কোনও স্পষ্ট অবস্থান নেই। ভারতীয়দের নজরদারি করে বিদেশী সংস্থার জড়িত থাকার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।’
Be the first to comment