ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তীব্র ভৎর্সনা সুপ্রিম কোর্টের

Spread the love

ফের সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ইডি সম্পর্কে বড়সড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। ইডি যেন প্রতিহিংসা পরায়ণ না হয়ে তদন্তের সঠিক দিক নির্দেশ করে, বললো সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে আদালতের তরফে ইডিকে সতর্ক করে বলা হল, তাদের কাজে যেন স্বচ্ছতা থাকে এবং তারা যেন শুধুমাত্র আইন মেনেই কাজ করে। একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে এভাবেই তীব্র ভৎর্সনা করে আদালত বলেছে, তদন্তকারী সংস্থা ন্যায্য পথে তদন্ত করবে। প্রতিহিংসা বশত তদন্ত যেন না করে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আরও বলে, আশা করা যায় ইডির প্রত্যেকটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতা থাকবে।

আর্থিক তছরুপের অভিযোগে এম৩এম রিয়েল এস্টেট গ্রুপের ডিরেক্টরদের গ্রেফতারি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের তরফে বলা হয় যে ওই রিয়েল এস্টেট সংস্থার দুই ডিরেক্টর পঙ্কজ ও বসন্ত বনসলকে গত ১৪ জুন আর্থিক তছরুপের একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ইডি। কিন্তু ওই একই দিনে ইডিরই দায়ের করা অন্য একটি মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যা সম্পূর্ন অনৈতিক ও বেআইনি।

শুনানি শেষে শীর্ষ আদালতের তরফে অবিলম্বে এম৩এম রিয়েল এস্টেট গ্রুপের দুই ডিরেক্টরদের মুক্তির নির্দেশ দিয়ে বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “কোনও লিখিত নথি না দিয়ে ইডি অফিসাররা গ্রেফতারির কারণ মুখে বর্ণনা করেছিলেন। এই ঘটনা ইডি ও তাদের নিম্ন মানের কাজের পরিচয় দেয়। বিশেষ করে যেখানে তদন্তকারী সংস্থা দেশের আর্থিক সুরক্ষা রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে, তাদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।”

এতবড় একটি ক্ষমতা ও দায়িত্বশীল তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে কী আশা করা হয়, তার বর্ণনা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “ইডিকে স্বচ্ছ হতে হবে। সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায্য হতে হবে। ইডি কখনও নিজের অবস্থানে প্রতিহিংসা পরায়ণ হতে পারে না।”

শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের তরফে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ইডিকেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে বলেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, “গ্রেফতারির সময় অবশ্যই লিখিত কপি দিতে হবে। ঠিক কী কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়ে উপযুক্ত তথ্য আদালতকে দিতে হবে। এটা সংবিধানের ২২(১) ধারার অধীনে নাগরিকের অধিকার। অভিযুক্ত এই লিখিত কপির উপরে ভিত্তি করেই আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। লিখিত নথি না থাকায় ইডির অভিযোগ লঘু হয়ে যায়, যা সংশ্লিষ্ট মামলাতেও হয়েছে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*