সুপ্রিম কোর্টে একনাথ শিন্ডে শিবিরের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ১১ জুলাই। সমস্ত সংশ্লিষ্ট দলকে তাদের হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করার ব্যাপারে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরেওয়াল ১২ জুলাই পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে সোমবার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এর ফলে মহারাষ্ট্র সরকারের চলতি সংকট অন্তত ১২ জুলাই পর্যন্ত ঝুলেই থাকছে। এমনটাই মনে করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।
ডেপুটি স্পিকার গত সপ্তাহে শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে চিঠি দিয়ে জানতে চান, কেন তাঁদের সদস্যপদ খারিজ হবে না। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছিল। শিন্ডে গোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। একইসঙ্গে ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগের দাবি করেও তারা শীর্ষ আদালতে আবেদন করে। গত কদিন ধরে চলতে থাকা এই ডামাডোলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যায়। তারই রেশ ধরে সোমবার শিন্ডে-সহ একাধিক বিদ্রোহী মন্ত্রীর দফতর কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ওই দফতরগুলি উদ্ধব অনুগামী মন্ত্রীদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিবদমান দুই গোষ্ঠীই শীর্ষ আদালত কী রায় দেয়, তার দিকেই তাকিয়ে ছিল। এদিন শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে, তাতে শিন্ডে গোষ্ঠী বেশ কিছুটা সময় পেয়ে গেল। ওই গোষ্ঠীর অন্দরের খবর, এই সময়কালে তারা নিজেদের আরও কিছুটা গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাবে। আবার উদ্ধব গোষ্ঠী মনে করছে, এই সময়ের মধ্যে তারাও বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়ককে শিন্ডে বাহিনীর কবজা থেকে ছিনিয়ে আনতে পারবে। তবে যাই হোক, দুই শিবিরের মধ্যে আরও বেশ কয়েকদিন ধরে স্নায়ুযুদ্ধ বহাল থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment