রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়া যেতে বারণ করল কাঁথি পুলিস। রবিবারই কাঁথি থানার তরফে শুভেন্দুকে চিঠি পাঠিয়ে এই আবেদন করা হয়। পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে গত তিনদিন ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। ইন্টারনেট পরিষেবা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সেখানে যাওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন পুলিস আধিকারিকরা। তাই শুভেন্দুকে সতর্ক করে ওই চিঠি পাঠিয়েছে কাঁথি পুলিস।
শনিবার শুভেন্দু টুইটে জানিয়েছিলেন রবিবার তিনি হাওড়ার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে যাবেন। গত তিনদিন ধরে হাওড়ার ওই সব এলাকাগুলির বিজেপির অফিসগুলি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। টুইটে শুভেন্দু লেখেন, আমাদের কাছে পার্টি অফিস হল মন্দির ৷ ছাই হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস পুনরায় আমরা তৈরি করব ৷ ইতিহাসের দিকে তাকান, বহিরাগতরা যারা আমাদের মন্দির গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সেই জায়গাগুলিতে গেরুয়া পতাকা উড়ছে ৷ ওই টুইটের সঙ্গে হাওড়ার একটি জায়গায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিজেপি পার্টি অফিসের ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি ৷ শুভেন্দু লেখেন, উলুবেড়িয়া, রঘুবেন্দ্রপুর, হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিস হয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়তো ভাঙচুর চালানো হয়েছে ৷ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রাতারাতি ভেঙে পড়েছে ৷
প্রসঙ্গত, শনিবারই হাওড়ার ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক থানায় থাকার পর ছাড়া পান সুকান্ত। বিজেপি সভাপতির অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে তিনি জানিয়েছিলেন, যারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে, রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার দিদি ৷ আপনার প্রশয় তাদের মদত জোগাচ্ছে ৷
Be the first to comment