বিধানসভার অন্দরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া সুরে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ‘ডোন্ট টক লাইক রাবিশ।’ একইসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও ধমক খান শুভেন্দু। সবমিলিয়ে মণিপুর ইস্যুতে ভবনে নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বাধা দিতে গিয়ে একের পর এক ধমক খেয়ে শেষে ওয়াকআউট করতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকে।
সোমবার বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে মণিপুর নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলে ওঠেন, “বাংলার মা-বোনদের কথা বলুন।” বিরোধী দলনেতার কথা শুনে তেতে ওঠেন মমতা। বলেন, “ডোন্ট টক রাবিশ। আমায় জ্ঞান দেবেন না। মণিপুরের ঘটনা একটি সেন্সেটিভ বিষয়। বাংলায় ১০৭টা বেশি টিম পাঠিয়েছে বিজেপি। কোনও কিছুই তারা পায়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে তারা বাংলার বদনাম করছে। একটা ইদুর মরলে ওরা টিম পাঠায়। জেনে রাখুন, ইন্ডিয়া ক্ষমতায় আসবে। আপনাদের প্রতিটি কেসের বিচার হবে। একটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করলে কমিশন গড়া হয়। বেশি চিত্কার করবেন না। সবে জিতে এসেছেন। মন্ত্রী হবেন না। বসুন। আমরা টিকিটিকি নিই। গিরগিটি নই। লেবু কচলাতে কচলাতে তেতো হয়। আপনারা যখন ফেল করেছেন, তখন মুখে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে বসে থাকুন।” শুধু তাই নয়, বিরোধী দলনেতাকে সহবত শেখারও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় অভব্য আচরণের জন্য শুভেন্দুকে তিনি বলেন, আপনাদের দিল্লির নেতাদের থেকে কিছু সহবত শিখে আসুন।
এর পাশাপাশি তৃণমূল নিন্দাপ্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মণিপুরের ঘটনা সেই রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য রাজ্য নিয়ে আলোচনা করার অধিকার নেই এই রাজ্যের। এটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার অধিকার নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই আলোচনা হচ্ছে।” এরপরই তিনি দাবি করেন, “এই প্রস্তাবের সমালোচনা করছি। এই বিধানসভার নথি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাব।” যা শুনে ফুঁসে ওঠেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুভেন্দুকে বলে দেন, “এই মোশন পড়ে দেখেননি। আপনারা যদি তা অবৈধ মনে করেন, তাহলে এতে অংশ নিতেন না। আপনারা অংশ নিয়েছেন। তাই শুনতে হবে শুভেন্দুবাবু। শুধু কাগজ ছিড়লে হবে না।”
Be the first to comment