রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে চমকের রাস্তায় হাঁটতে পারে বিজেপি। গতবার, ২০১৭ সালেও উত্তরপ্রদেশের ‘দলিত মুখ’ রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে চমক দিয়েছিল এনডিএ। এবার কে হবেন এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী? আলোচনায় উঠে আসছে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ কিংবা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। পাশাপাশি উঠে আসছে আরও একজনের নাম। তিনি তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দর্যরাজন। শোনা যাচ্ছে, ‘তামিলনাড়ুর সুষমা স্বরাজ’ নামে পরিচিত ৬১ বছরের বিজেপি নেত্রীকে বেছে নেওয়ার পক্ষে সায় রয়েছে দলের অনেকেরই।
গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা ঘোষণা করতেই আলোচনা শুরু হয়ে যায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে। আর তখন থেকেই আলোচনায় উঠে আসছে সৌন্দর্যরাজনের নামও। ২০১৯ সাল থেকে তেলেঙ্গানার রাজ্য়পাল পদে রয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা কুমারী অনন্তনের মেয়ে বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেত্রী। বরাবরই অনুবাদের পারদর্শিতা ও বাক পারদর্শিতার জন্য পরিচিত সৌন্দর্যরাজনকেই দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের জন্য বাছতে চাইছে এনডিএ, এমনই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
আসলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে এগোতে চাইছে বিজেপি ও অন্যান্য সব দল। হিন্দি বনাম তামিল ভাষা বিতর্কের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ থেকেই প্রার্থী বেছে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিতেই পারে গেরুয়া শিবির, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এদিকে আরিফ মহম্মদ, দ্রৌপদী মুর্মু কিংবা সৌন্দর্যরাজনের বাইরেও কেউ উঠে আসতে পারেন রাইসিনা হিলসের আগামী বাসিন্দা হিসাবে-এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আসলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটসংখ্যার নিরিখে বিজেপি ও তার জোটসঙ্গী এনডিএ-র ভোটের চেয়ে সম্মিলিত বিরোধীদের ভোটসংখ্যা বেশি রয়েছে। বিরোধীদের থেকে দুই শতাংশ ভোট কম রয়েছে বিজেপির। বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিজেপির ‘বন্ধু’ দল বলা চলে। এই দুই দলের ভোট বিজেপির ঝুলিতে এলে এগিয়ে যাবে তারা। সেক্ষেত্রে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই দুই দলের পছন্দকে কিছুটা হলেও গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। তাই সব দিক বিচার করেই শেষ পর্যন্ত কাকে বেছে নেয় গেরুয়া শিবির, সেদিকেই নজর থাকছে সকলের।
Be the first to comment