তনুশ্রীর বিরুদ্ধেই এবার পাল্টা অভিযোগ আনলেন গণেশ আচার্য; পড়ুন!

Spread the love
২০০৮ সালের মার্চ মাসে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির নাচের সেটে অভিনেতা নানা পাটেকর নাকি যৌন হেনস্থা করেছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তকে। নানার সহযোগী ছিলেন আরও দু’জন। কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য ও পরিচালক রাকেশ সারাং। তনুশ্রীর অভিযোগের পর থেকে এদেশে শুরু হয় ‘মি টু’ আন্দোলন। বলিউডের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি, রাজনীতিক, মন্ত্রী ও অন্যান্য ক্ষেত্রের সেলিব্রিটিদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু গত সোমবার উলটে তনুশ্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন গণেশ আচার্য। তাঁর দাবি, নর্তকী হিসাবে তনুশ্রী খুবই নিম্নমানের। সিনেমায় নেমে সুবিধা করতে না পেরে তিনি এসব উলটো পালটা অভিযোগ আনছেন।
গত সোমবার আইনজীবী পদ্মা শেলাতকারের মাধ্যমে গণেশ আদালতে ১২ পাতার বক্তব্য পেশ করেন। তাঁর দাবি, তনুশ্রী যেমন অভিযোগ করেছেন, তাঁকে সোলো ড্যান্সে পারফর্ম করতে হয়েছিল, তা সত্য নয়। সেই নাচে প্রায় ১০০ জন নর্তকী অংশ নিয়েছিলেন। আমার তত্ত্বাবধানে নাচের মহড়া হয়েছিল। তনুশ্রীর মেজাজ খুব খারাপ। তাঁকে নাচের স্টেপস শেখাতে আমাকে ও আমার টিমকে খুব কষ্ট করতে হয়েছে। তবে রিহার্সালের সময় তো তিনি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।
গানের একটি অংশে পুরুষের কণ্ঠ ছিল। সেখানে নানা পারফর্ম করেছেন। তনুশ্রী জানতেন নানার সঙ্গে তাঁকে নাচতে হবে। তাঁর কোনও আপত্তি ছিল না। সিনেমায় নানার লিড রোল ছিল। তনুশ্রীর অভিযোগ, নাচের মধ্যে ইচ্ছা করে কয়েকটি অশালীন অংশ ঢোকানো হয়। সেজন্য তাঁর খুব অসুবিধা হয়েছিল।
গণেশ তার বিরোধিতা করে বলেন, কোনও অশালীন অংশ ছিল না। নাচের স্টেপ আগেই কোরিওগ্রাফড হয়েছিল। আগেই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরদের সামনে রিহার্সালও হয়েছিল। তাছাড়া তনুশ্রী ও নানা পাটেকর প্রায় ২০০ লোকের সামনে পারফর্ম করেছিলেন। রিহার্সালের মধ্যে একবার লাঞ্চ ব্রেক হয়। সকলে খেতে গিয়েছিলেন। শুধু তনুশ্রী উঠে পড়েছিলেন তাঁর ভ্যানিটি ভ্যানে। সেখান থেকে বেরলেন চার ঘণ্টা পরে। তার পরে নাচের স্টেপগুলো ঠিক করতে পারছিলেন না।
গণেশের কৌঁসুলি পদ্মা শেলাতকার আদালতে জানান, মহিলা কমিশনকেও তাঁরা নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে মহিলা কমিশনে বক্তব্য পেশ করেছেন নানাও। তিনি কী বলেছেন, জানাননি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*