ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিখ্যাত সাংবাদিক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে। তেহেলকা ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে খারিজ করে দিল গোয়ার আদালত। তরুণ তেজপাল, যিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে এক সহকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। গোয়ার একটি পাঁচতারা রিসর্টে কনফারেন্স চলাকালীন ৭ নভেম্বর তেজপাল যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ আনেন। ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরই তিনি ম্যাগাজিনের সম্পাদকের পদ থেকে সরে যান। ৩০ নভেম্বর গোয়া পুলিশ গ্রেফতার করেন তেজপালকে।
২০১৪ সালে প্রায় তিন হাজার পাতার চার্জশিট জমা দেয় গোয়ার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই বছরই জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে জামিন পায় তরুণ তেজপাল। এরপর তিন বছর বাদে মামলার শুনানি শুরু হয় ফের। তেজপালের অনুরোধেই গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ক্যামেরায় রেকর্ড হয়।
২০১৭ সালে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগকে মান্যতা দেয়। ২০১৯ সালে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তেজপাল সুপ্রিম কোর্টে যান, এফআইআর বাতিলের দাবি জানান। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে, ছয় মাসের মধ্যে গোয়ার আদালতে শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হতে হবে।
তবে করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস অবধি শুনানি স্থগিত থাকে। অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ৩১ মার্চের মধ্যে শুনানি প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতোই মার্চ মাসের মধ্যে দুই পক্ষের মতামত পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়। শুনানি প্রক্রিয়া শেষে ২৭ এপ্রিল রায়দানের দিন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেই দিনই দু’বার পরিবর্তিত হয়। এ দিন গোয়া আদালতের তরফে তেজপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি খারিজ করে দেওয়া হয়।
Be the first to comment