ট্রাফিক গার্ডের ওসির তৎপরতায় উদ্ধার দুই কিশোরী ৷ চলন্ত বাইক থামিয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ ৷ অভিযোগ, ওই দুই নাবালিকাকে হাত, মুখ বেঁধে মোটরবাইকে জবরদস্তি করে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক যুবক ৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে পাকড়াও করা হয়েছে ৷ দুই কিশোরীকে বাড়িতে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ ৷
শনিবারের সকাল ৷ অন্যান্য দিনের মতোই ডিউটিতে ছিলেন তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী ৷ হঠাৎই বাইপাস ধরে এগিয়ে আসা একটি মোটরবাইক ও তার সওয়ারিদের দেখে সন্দেহ হয় তাঁর ৷ বেলা তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন মোটরবাইকটির গতি ছিল অত্যন্ত বেশি ৷ মোটরবাইকের পিছনে বসে ছিল দুই কিশোরী ৷ দু’জনেরই হাত আর মুখ বাঁধা ছিল ৷ আর তা দেখেই অস্বাভাবিক লাগে সৌভিকের ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওয়াকিটকিতে কর্তব্যরত সার্জেন্টদের খবর পাঠান তিনি ৷
এরপর এলাকায় থাকা ট্রাফিক সার্জেন্টরা দল বেঁধে মোটরবাইকটিকে চিহ্নিত করে থামানোর চেষ্টা করেন ৷ ফল মেলে হাতেনাতে ৷ মোটরবাইকের চালককে থামিয়ে তাঁকে নামতে বলা হয় ৷ নেমে আসতে বলা হয় দুই কিশোরীকেও ৷ তাদের হাত, মুখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয় ৷ তিনজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় প্রগতি ময়দান থানায় ৷ বাইকচালককে আটক করেছে পুলিশ ৷
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরের বাসিন্দা ৷ আটক বাইকচালকের দাবি, তিনি মেয়ে দু’টিকে আগে থেকেই চেনেন ৷ কিন্তু, তিনি তাদের নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেন তাদের হাত, মুখ বেঁধে রাখা হয়েছিল, সেইসব প্রশ্নে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই বারুইপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ৷ দুই নাবালিকাকে যাতে দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা চলছে ৷ পাশাপাশি, ওই যুবককেও জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে ৷ এর পিছনে নারীপাচার কিংবা শিশু অপহরণ চক্রের কোনও হাত আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
Be the first to comment