ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে। রাত গভীর হচ্ছে তবু অনশনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের নির্দেশের পর সেখানে উপস্থিত হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ১৪৪ ধারা অমান্য করে চাকরিপ্রার্থীরা অনশন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশের তরফ থেকে নানাভাবে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। কার্যত ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পুলিশকে।
পুলিশের অনুরোধের মুখেও ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। নির্জলা অনশনে একের পর এক চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই করুণাময়ীতে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। আন্দোলনকারীদের দ্রুত এলাকা ছাড়তে মাইকিং করা হলেও, কোনও কথাই শুনছেন না চাকরিপ্রার্থীরা। করুণাময়ীতে এই নিয়ে টানা ৪ দিন ধরে ধর্না আন্দোলনে ২০১৪-টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা মানতে হবে। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রয়োজনীয় পুলিশ দিয়ে পর্ষদ অফিসে কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর আন্দোলন স্থলে যান বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। মাইকিং করে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার কথা বলা হয়। পরে তাঁদের হাইকোর্টের অর্ডার ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই এক নতুন কৌশল অবলম্বন করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
১৪৪ ধারা অনুযায়ী, যেহেতু পাঁচজনের বেশি একসঙ্গে জমায়েত করা যায় না। তাই প্রার্থীরা ৫ জন করে ভাগ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি, আদালতকে সম্মান জানাতেই তাঁদের এই কৌশল। পাশাপাশি হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
Be the first to comment