১৪৪ ধারা অমান্য করা চলবে না, ২০১৪র টেট আন্দোলনকারীদের নির্দেশ হাইকোর্টের

Spread the love

২০১৪’র টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের ১৪৪ ধারা মানতে হবে। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে কর্মীদের ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকেই। একইসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “পুলিশ কি পাওয়ারলেস?”

এদিকে ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের ধরনায় বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার ফের আদালতে গিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের আইনজীবী বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস বন্ধ। আমরা সেখানে ঢুকতে পারছি না। সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে।” দ্রুত মামলা শোনার আবেদন জানিয়েছেন জুনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষকের চাকরির ইন্টারভিউ সেখানে দিতে যাওয়া চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবীরাও।

এদিন হাই কোর্টে পর্ষদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল বলেন, “আমরা আন্দোলনের বিরোধী নয়। আমরা চাই, আমাদের কর্মী-অফিসারদের অফিসে ঢোকা বেরনো গাড়ি যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।” তিনি আরও জানান, “ইমেলে আমরা পুলিশের কাছে আবেদন করেছি। পুলিশকে বিক্ষোভের ছবি দেখানো হয়।” তাঁদের তরফে শাহিনবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের সরাতে ব্যর্থ হচ্ছি। সেখানে হাসপাতাল আছে, অফিস আছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত এলাকা সেটা। কিন্তু সেখানে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে।” তারা আরও জানায়, “৯ অক্টোবর থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেটাও মানছে না। তাই আদালত পদক্ষেপ করুক।” তবে টেট আন্দোলনকারীদের তরফে কোনও আইনজীবী ছিল না আদালতে।

এরপরই হাই কোর্টের নির্দেশ, প্রাথমিক পর্ষদের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ১৪৪ ধারা মানতে হবে। প্রয়োজনীয় পুলিশ দিয়ে কর্মীদের পর্ষদের অপিসে ঢোকা বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিধাননগরের সিপিকে এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতির। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তারপরে রেগুলার বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*