রোজদিন ডেস্ক:– বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় খোরপোশের পরিমাণ কত হতে পারে তা খতিয়ে দেখতে আটটি মানদণ্ডের কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ নিজেকে শেষ করা আগে তাঁর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির পরিজনদের দিকে খোরপোশ নিয়ে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই এই পর্যবেক্ষণ দেশের শীর্ষ আদালতের। দেশের অন্যান্য আদালতগুলিকে সুপ্রিম কোর্টের এই আট মানদণ্ডের কথা মাথায় রেখেই বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রীর খোরপোশের পরিমাণ নির্ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছে।
যেই আটটি মানদণ্ডের কথা সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সেগুলি হল-
১. স্বামী এবং স্ত্রীর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা
২. ভবিষ্যতে স্ত্রী এবং সন্তানদের ন্যূনতম চাহিদা
৩. স্বামী এবং স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
৪. অভিযোগকারীর আয়ের উৎস এবং সম্পত্তির পরিমাণ
৫. শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় স্ত্রীর জীবনযাত্রার মান
৬. সংসারের খেয়াল রাখতে কাউকে চাকরি ছাড়তে হয়ে কি না
৭. কর্মহীন স্ত্রীর আইনি লড়াই চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ
৮. স্বামীর আর্থিক সামর্থ্য, আয় এবং অন্যান্য খরচ
যদিও আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়গুলিকে কঠোর ভাবেই যে পালন করতে হবে তা নয়। তবে, এই খোরপোশের মামলায় এই বিষয়গুলি মানদণ্ড হিসাবে কাজ করবে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভরণপোষণের পরিমাণ নিয়ে এমনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যা স্বামীর কাছে শাস্তির স্বরূপ না হয়ে ওঠে। এবং স্ত্রীর জন্য একটি সুস্থ জীবনযাত্রা নিশ্চিত করে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিবাহবিচ্ছেদের একটি মামলা শুনছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে জনৈক প্রবীণকুমার জৈনকে প্রাক্তন স্ত্রী অঞ্জু জৈনের কাছে ভরণপোষণের খরচ বাবদ ৫ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। প্রবীণকুমারকে তাঁর ছেলের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য আরও এক কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মামলার সূত্রেই ওই আট মানদণ্ডের কথা জানায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
Be the first to comment