দেশ হারালো একজন সৎ,ভদ্র,দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, শোক ব্যক্ত করলেন খাড়্গে, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা :- শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ৯২ বছর বয়সে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে দিল্লি এইমসের আইসিইউ-তে চিকিত্‍সাধীন ছিলেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গোটা দেশে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি এইমসে পৌঁছেছেন, মনমোহন সিংয়ের স্ত্রী গুরশরণ কউর। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছে গিয়েছেন এইমসে। খালি করা হয়েছে হাসপাতাল চত্বর। শোকের ছায়া রাজনীতির আঙিনায়। শোক প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী।
এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে লেখেন, “আমার সিনিয়র সহকর্মী, এক শান্ত মেধাবী এবং এক বিনম্র মানুষকে হারালাম”।

এদিন রাহুল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, “মনমোহন সিংজি অপার প্রজ্ঞা ও সততার সাথে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নম্রতা এবং অর্থনীতির গভীর উপলব্ধি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মিসেস কৌর এবং পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি একজন পরামর্শদাতা এবং পথ প্রদর্শককে হারালাম।”

প্রিয়ঙ্কা লিখছেন, ‘রাজনীতিতে খুব কম লোকই সর্দার মনমোহন সিংজির মতো সম্মানের অনুপ্রেরণা দেয়। তাঁর সততা সবসময় আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’

কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ লেখেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংজির প্রয়াণে ভারত এক দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, অমলিন সততার নেতা এবং অতুলনীয় খ্যাতিসম্পন্ন একজন অর্থনীতিবিদকে হারাল। তাঁর অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং অধিকারভিত্তিক কল্যাণনীতি কোটি কোটি ভারতীয়ের জীবনকে গভীরভাবে রূপান্তরিত করেছে। ভারতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সৃষ্টি এবং কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে উত্তোলনের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। আমি এক আজীবন সিনিয়র সহকর্মী, এক শান্ত মেধাবী এবং এক বিনম্র আত্মার প্রয়াণে শোকাহত, যিনি ভারতের আকাঙ্ক্ষাগুলিকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং অটল নিষ্ঠার সাথে উত্থানের প্রতিটি স্তরে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। আমি গর্বিত যে আমি তাঁর মন্ত্রিসভার অংশ হতে পেরেছি, শ্রম মন্ত্রী, রেলমন্ত্রী এবং সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কথার চেয়ে কাজের মানুষ, জাতি গঠনে তাঁর অসামান্য অবদান চিরকাল ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। এই শোকের মুহূর্তে, তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অসংখ্য অনুরাগীর প্রতি আমি গভীর এবং আন্তরিক সমবেদনা জানাই। এই বিশাল ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার শক্তি তাঁদের যেন ঈশ্বর দেন। ভারতের প্রবৃদ্ধি, কল্যাণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগুলির অগ্রগতিতে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান চিরকাল মনে রাখা হবে। তাঁর আত্মা চিরশান্তিতে বিরাজ করুক।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*