রোজদিন ডেস্ক:-
এবার কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে গেলেন পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়। আগামী ২২ অক্টোবর বিচারপতি কৌশিক চন্দের পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলার শুনানি।
পুজোর কার্নিভালে এমারজেন্সি ডিউটির জন্য পুরসভার মেডিক্যাল টিমের হয়ে উপস্থিত ছিলেন তপোব্রত রায় নামের এক চিকিৎসক। কিন্তু তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করেছিল ময়দান থানার পুলিশ। কারণ তিনি অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে ব্যাজ পরেছিলেন।
গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সহকর্মীরা। পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ পুলিশের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক তপোব্রতকে আটকের নিন্দা করেনি পুর কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনার জন্য পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে হবে। এমনটাও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও সাড়া দেয়নি কলকাতা পুরসভা। আর তাই প্রতীকী অনশনে বসার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন কলকাতা পুরসভার ডাক্তাররা। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে দুঃখপ্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়নি। তাই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বুকে ‘অনশনকারী’ ব্যাজ রয়েছে। তাঁদের যারা সমর্থন করছেন তারাও একই রকমের ব্যাজ পরছেন। সেই রকম ব্যাজ পরেই গ্রেফতার হন পুরসভার ডাক্তার তপোব্রত। রাজ্য সরকারের পুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল পরিষেবা দিতে কলকাতা পুরসভার যে টিম গেছিল, সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন তিনি। আন্দোলনের চাপেই পুলিশ ওই ডাক্তারককে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
Be the first to comment