রোজদিন ডেস্ক,কলকাতা :- রাজ্য পুলিশের ডিজি রবিবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন ‘বাংলার পুলিশ নিঃশব্দে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে’। এরপরই রবিবার রাতে রাজ্য পুলিশের উচ্চ নেতৃত্বকে নিশানা করে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রবিবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা রাজ্য পুলিশের সাফল্য ও দক্ষতার কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘অতীতে বামপন্থী এবং ডানপন্থী চরমপন্থা মোকাবিলায় সাফল্য এনেছে রাজ্য পুলিশ। এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কার্যত সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কোন কোন সংগঠন ‘তথাকথিত ডানপন্থী চরমপন্থা’য় জড়িত, ডিজি-র কাছে তার নাম জানতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত কাদের কাদের গ্রেফতার করেছেন সেই তালিকাও প্রকাশ করার কথা জানিয়েছেন।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, পশ্চিমবঙ্গে তথাকথিত “ডানপন্থী উগ্রপন্থার” সাথে জড়িত সংগঠনগুলোর নাম প্রকাশ করুন। যে কোনও সহিংস ঘটনার বিবরণ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম, যাদের আপনি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছেন, তা প্রদান করুন।
আপনার এই বক্তব্য জাতীয়তাবাদী সনাতনী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে মনে হচ্ছে, যেমনটা আপনার প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সেখানকার সনাতনী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
আপনারই বিভাগ অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত ও আটক করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং নথিপত্র যাচাই করার নামে ভুলভাবে তাদের ভারতীয় পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি পেতে সাহায্য করেছে।
দ্বিতীয়ত, এটা বিস্ময়কর যে, আপনি একজন মুখ্যমন্ত্রীর পরের সর্বশক্তিমান পদে থাকা প্রধান সচিব হওয়া সত্ত্বেও জানেন না যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও বিএসএফকে সীমান্তে বেষ্টনী নির্মাণের জন্য জমি দিতে পারেনি। সীমান্তে শত শত কিলোমিটার খোলা থাকার কারণেই অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তাই বিএসএফ-কে দোষারোপ করে আপনার সমস্যার সমাধান হবে না।
এদিন শুভেন্দু তার লেখার শেষে বলেন, আগামীকাল আমি একটি সাংবাদিক বৈঠক করব, যেখানে সীমান্ত বেষ্টনী নির্মাণের বিষয়ে এবং পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে ইচ্ছাকৃত সমন্বয়ের অভাবের বিষয়ে তথ্য শেয়ার করব। যদি আপনি এই বিষয়ে তথ্য পেতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনার দপ্তরকে আগামীকালের প্রেস কনফারেন্স শুনতে বলুন।
Be the first to comment