রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা ডিউটি নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। সকলের ক্ষেত্রে ডিউটির সময় সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হল নয়া নির্দেশিকায়। পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে রাতের ডিউটিতেও বাধ্যতামূলকভাবে অন্তত একজন সিনিয়র চিকিৎসককে থাকতে হবে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানির সময় বারবার জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটিতে থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্নও করেছিলেন। তাই এবার আদালতের পর্যবেক্ষণকে মাথায় রেখে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
অন্যদিকে, সরকারি চিকিৎসকরা কোন সময় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন, তাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। জানানো হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা যাবে না। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, এবার থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের এমার্জেন্সি, অন-কল, ওয়ার্ডের ডিউটির পাশাপাশি শিক্ষক চিকিৎসকের ভূমিকাও পালন করতে হবে। হাসপাতালের প্রতিটি ইউনিটে সকাল ও সন্ধ্যায় অন্তর্বিভাগ ও এমার্জেন্সি পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে পরিদর্শনও বাধ্যতামূলক।
রোগী ভর্তির দিন সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সিনিয়র চিকিৎসকদের দুপুর ২টো পর্যন্ত ওপিডিতে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রতিটি ইউনিটের অন্তত একজন চিকিৎসককে রোগীর পরিবারের সঙ্গে দু’বেলা দেখা করতে হবে। বিভাগীয় প্রধান নিজের ইউনিট ছাড়া অন্য ইউনিটের রোগীদেরও দেখবেন। এখন থেকে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়ো কেমিস্ট্রির চিকিৎসকদেরও জেনারেল ওপিডি করতে হবে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে কর্তব্যে কোনও গাফিলতি হয়েছে বলে প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারি চিকিৎসকের গাফিলতি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বা এনএমসি’র নজরেও আনবে স্বাস্থ্য দফতর।
Be the first to comment