রোজদিন ডেস্ক :- শনিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের ভবিষ্যতের জন্য ১১টি সংকল্প বা প্রস্তাব তুলে ধরেন। দুই দিনের সংবিধান বিতর্কে অংশ নিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এক দীর্ঘ বক্তব্যে কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রায় দুই ঘণ্টার বক্তব্যে অভিযোগ করেন যে, কংগ্রেসের নেতারা, বিশেষ করে জওহরলাল নেহরু থেকে রাজীব গান্ধী পর্যন্ত, সংবিধানের ক্ষতি করতে কোনো সুযোগ ছাড়েননি।
লোকসভায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই সংবিধান বিতর্কে সরকার এবং বিরোধী দলের সদস্যরা অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী লোকসভায় আলোচনা পর্বের শেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে উঠে তিনি যে ১১টি সংকল্পগুলি উপস্থাপন করেছেন তা হলো, সরকার এবং জনগণ-সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে, “সবকা সাথ, সবকা বিকাশ”, দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, দেশের আইনকে সম্মান করা এবং তা মেনে চলা, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্তি, ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গর্ব, রাজনীতিতে পারিবারিক প্রভাবের অবসান, সংবিধানের সম্মান-সংবিধানকে রাজনৈতিক স্বার্থে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়, সংবিধানের মর্মে, যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের সংরক্ষণ বজায় রাখা হবে; ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নয়, নারী নেতৃত্বে উন্নয়ন-ভারতকে বিশ্বে এই ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হতে হবে, রাষ্ট্রের বিকাশে প্রতিটি অঞ্চলের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে, এবং “এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই নীতিগুলি অনুসরণ করলে ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।” এই আলোচনা এবং সংকল্পগুলিকে ভারতের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের দিশা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment