রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করল রাজ্য। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যদফতর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সঠিকভাবে চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করলে মেদিনীপুর মেডিকেলে মা এবং সদ্যোজাতকে বাঁচানো যেত। তাঁর কথায়, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির পরও বাঁচানো যায়নি প্রসূতি এবং শিশুকে। পাশাপাশি এদিন স্বাস্থ্য কাঠামোয় উন্নতির প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, ‘এ রাজ্যে স্বাস্থ্য কাঠামোর যে উন্নয়ন হয়েছে অন্য কোথাও হয়নি। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে।’
সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলেন পাঁচ প্রসূতি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। এই ঘটনায় উঠে আসে স্যালাইন প্রসঙ্গ। পরে সেখানে এক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের একজনের সন্তানও প্রাণ হারিয়েছে। এই ঘটনায় এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, যাঁদের উপর দায়িত্ব, তাঁরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমনটা হত না। মমতার কথায়, ওটির দরজা পর্যন্ত সিসিটিভি নয় কেন। সিসিটিভি থাকলে অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরা যেত। অসুস্থ হয়ে পড়া প্রসূতিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনকেই কলকাতার এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া ১২ জনের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আরএমও এবং এমএসভিপিও রয়েছেন।
যাদের সাসপেন্ড করা হল তারা হলেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিমাদ্রি নায়েক, হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট মহম্মদ আলাউদ্দিন, এমএসভিপি জয়ন্ত কুমার রাউত, সিনিয়র রেসিডেন্ট পল্লবী ব্যানার্জি, পিজিটি স্টুডেন্ট ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু, সোমেন দাস, দিলীপ কুমার পাল, মৌমিতা মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল, পূজা সাহা, মণীশ কুমার, জাগৃতী ঘোষ।
Be the first to comment