রোজদিন ডেস্ক :- নির্বাচনে ব্যালট পেপার ফেরানোর আর্জি নাকচ করে দিল দেশের উচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে মঙ্গলবার এই দাবিতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে বলা হয়েছে, ‘যখন আপনারা জেতেন তখন ইভিএম কারচুপি হয় না, আর যখন হারেন তখই কারচুপি করা হয়।’ বিচারপতি বিক্রম নাথ ও পি বি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু পেপার ব্যালট ফেরানোর আর্জিই নয়, নির্বাচন কমিশনকে আরও কিছু নির্দেশিকা দিতে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয় মামলাকারীর তরফে। তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচনে কোনও প্রার্থী টাকা-মদ বা অন্যান্য সামগ্রী বিলি করতে গিয়ে ধরা পড়লে ৫ বছরের জন্য তাঁর নির্বাচনে লড়া নিষিদ্ধ করার মতো দাবিও। জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন জনৈক কে এ পাল নামের এক ব্যাক্তি। তিনি নিজের পরিচয় দিতেই বিচারপতিরা বলেন, ‘কোথা থেকে এমন সব চমৎকার ধ্যান ধারনা জোগার করেন?’
মামলাকারী জানান, তিনি একটি সংগঠন চালান যেই সংগঠন ৪০ লক্ষ বিধবা মহিলা ও ৩ লক্ষ অনাথ শিশুকে উদ্ধার করেছে। যার জবাবে বিচারপতিরা পরিষ্কার বলেন, ‘আপনার কাজের ক্ষেত্র আলাদা, রাজনীতির মধ্যে ঢুকছেন কেন?’ মামলাকারী ১৫০টি দেশে গিয়েছেন জানতে পেরে বিচারপতিদের প্রশ্ন, সব দেশে কি পেপার ব্যালট রয়েছে না ইভিএমে ভোট হয়? আবেদনকারীর দাবি, কিছু দেশ ব্যালট পেপার বেছে নিয়েছে। ভারতেরও সেই পথে হাঁটা উচিত। সেক্ষেত্রে বিচারপতিরা জানান, আপনি কেন ব্যতিক্রম হতে চাইছেন না। আবেদনকারির আরও যুক্তি ছিল, টেসলার মালিক ইলন মাস্ক, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিরা জানিয়েছেন, ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব। এর জবাবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যখন চন্দ্রবাবু নায়ডু বা জগন্মোহন রেড্ডিরা হেরে যান, তখন তাঁরা বলেন ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে, অন্য দিকে যখন তাঁরা জেতেন তখন কিছু বলেন না। আমাদের এটা কীভাবে দেখা উচিত? এরপরই বিচারপতিরা এই আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেন, ‘এটা এই ধরনের যুক্তি-তর্কের জায়গা নয়।’
Be the first to comment