রোজদিন ডেস্ক :– চলতি বছরের শেষ সংসদ অধিবেশনের তৃতীয় দিনেও সংসদে আদানি ঝড়। বুধবার স্থগিত হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষের কাজ। দিনের শুরু থেকেই আদানি ইস্যুতে ঝড় তোলেন বিরোধী শিবির।
বুধবার, সংসদ শুরুতেই কংগ্রেসের দুই সাংসদ মানিকম ঠাকুর, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং মণীশ তেওয়ারি মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন। আর তা নিয়ে সভা শুরু হতেই তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। এরপরই, এদিন লোকসভা প্রথমে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। পরে তা দিনের মত মুলতুবি করে দেন স্পিকার। এদিন সংসদে আদানি ইস্যুতে কংগ্রেস এবং অন্য দলের সমর্থকরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদের মধ্যে প্রধান হিসাবে ছিল সমাজবাদী পার্টি।
অন্য বিরোধীরা নিজেদের জায়গা থেকেই এই বিষয়ে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। তারা সকলেই আদানির প্রধান গৌতম আদানির গ্রেপ্তারি দাবি করতে থাকেন। পাশাপাশি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তীকালে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিয়েও সরব হন। একই ছবি দেখা গেল রাজ্যসভাতেও। সেখানে অন্য নানা বিষয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও পরে আদানি ইস্যুতে তৈরি হয় চরম হইচই। এরপরই চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর দিনের মত রাজ্যসভার কাজ মুলতুবি করে দেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ১১টায় সংসদ বসলে প্রথম থেকেই আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবি তুলতে থাকে বিরোধীরা। এরপরই প্রথমে ১২টা পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দেয় স্পিকার ওম বিরলা। পরে সভা বসলে স্পিকার ওম বিড়লা দিনের কার্যবিবরণী পড়তে শুরু করলে বিরোধীরা ওয়েলে নেমে পড়েন। তাঁরা চিৎকার করে আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবি তুলতে থাকেন। এরমধ্যেই বেশ কিছু কাগজ ছোড়াছুড়ি হয়। তারপর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এদিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
অন্যদিকে, একই ছবি দেখা যায় সংসদের উচ্চ কক্ষে। এদিন, আদানি ইস্যু ছাড়াও দিল্লিতে অপরাধ বেড়ে যাওয়া, মণিপুর সমস্যা, সম্ভাল হিংসা নিয়ে মোট ১৮টি মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। তার সবকটিই খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। বিরোধীরা রুখে দাঁড়ালে সভা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয়। পরে সভা শুরু হতেই ফের একই ইস্যুতে হইচই বাধায় দিনের মতো মুলতুবি করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
Be the first to comment