তিলজলায় শিশুকে নৃশংস হত্যার ঘটনায় তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনাতেই এবার মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে এসে হেনস্থার শিকার হলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় তিলজলা থানার অফিসার ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে ওসির বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই তিলজলা থানা এলাকায় ৭ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণ করে যৌন হেনস্থার পর খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে জানতেই শুক্রবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা তিলজলায় আসেন। মৃত নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের অভিযোগ, তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায় তাঁকে মারধর করেছেন। এই আবহে ওসি-র বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গোটা ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, শুক্রবার তিনি ও কমিশনের আর এক সদস্য সেক্রেটারি রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। কমিশনের প্রতিনিধিদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, খুন হওয়া নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে তাঁদের একান্তে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এসে তাঁদের সেই নাবালিকার বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই তিলজলা থানায় যান ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তখন ওসি বডি ক্যামেরা দিয়ে গোপনে প্রিয়াঙ্কের সঙ্গে নিজের কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকেন। ভিডিয়ো করতে তিনি বাধা দিলে তাঁকে ৭-৮ জন লোক মিলে ঘিরে ফেলে। এরপর ওসি নিজে তাঁকে মারধর করেন। তাঁর দাবি, পুলিশের গাফিলতির কথা সামনে আসছিল বলেই তাঁদের এভাবে মারধর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৩, ৩৪১, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছে।
Be the first to comment