মাসানুর রহমান,
শেষ হয়েছে দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। কেন্দ্রে ৩৫০-র বেশি আসনে আবার সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। শপথগ্রহণের আগেই বাংলায় দলবদলের হিড়িকে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাংলার গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা আসন ব্যারাকপুর এবারের কেন্দ্রবিন্দু। ঐ লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন দিনেশ ত্রিবেদী। বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যাওয়া ও পরে বহিষ্কৃত অর্জুন সিং।
লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র হারায় তৃণমূল কংগ্রেস। সবলে আবার কামব্যাক করলেন অর্জুন। জয়ের পরের দিন থেকেই একের পর এক পার্টি অফিস দখল, বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসে ব্যারাকপুর থেকে। অভিযোগের পাল্টা অভিযোগে বাড়তে থাকে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এদিকে গতকাল বিজেপিতে যোগদান করেন সদ্য বহিষ্কৃত মুকুলপুত্র তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সহ আর দুই বিধায়ক ও বেশ কিছু কাউন্সিলর।
তবে এই দলবদলের হিড়িককে কিভাবে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল? কিছুজনের বক্তব্য যারা তৃণমূল কংগ্রেসে নিজেদের জায়গা করতে পারছিলেননা তারাই গেছেন বিজেপিতে। অর্থাৎ সুযোগসুবিধা না পেয়ে বিজেপিতে যোগদান৷ আবার কিছু মানুষের মন্তব্য বিজেপির আদর্শে নরেন্দ্র মোদীর কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েই বিজেপিতে যোগদান।
এ বিষয়ে গতকাল প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, আরোও অনেক নেতা দল বদলে বিজেপিতে আসবেন৷ অনেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে।
তবে এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ঝড় এলে জাহাজ থেকে পালানোর জন্য আগেই তোড়জোর শুরু করে দেয় ইঁদুররা। তারা জানেনা তারা যেখানে ঝাঁপ দিচ্ছে সেটা আসলে বিরাট সমুদ্র যেখানে তাদের ডুবে যাবার সম্ভাবনা নিশ্চিত। তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা আরোও অভিযোগ করেন, কেউ ভালোবেসে,নীতি আদর্শ নিয়ে বিজেপিতে জাননি। সবাইকে ভয় দেখিয়ে বন্দুকের ডগা মাথায় ঠেকিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
Be the first to comment