দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকবলরামের শিউলি মার্ডিকে এবার গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল দুপুর থেকেই নিজের এলাকায় প্রচার শুরু করেন শিউলি। নিজে তুলি ধরে দেওয়াল লেখেন। দণ্ডিকাণ্ডের পর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা তৃণমূল থেকে সরে গিয়েছে এমন তত্ত্ব খাড়া করেছিল বিজেপি সহ বিরোধীরা। যদিও শিউলি মার্ডি বলেন, “কোনও আদিবাসী মানুষ সরেনি । বরং আরও বেশি তৃণমূলে আস্থা রেখেছেন তাঁরা। দিদি যেভাবে উন্নয়ন করেছে সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের উপরই ভরসা করছে আদিবাসী সহ সাধারণ মানুষ।” অপরদিকে, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি, দণ্ডিকান্ডের পর শিউলির উপর দল ভরসা রেখেছে। তাই তাঁকে দল টিকিট দেওয়া হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হবে।
প্রসঙ্গত, মাস দু’য়েক আগে দণ্ডিকাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল জেলা থেকে রাজ্য রাজনীতি। ভিডিয়োয় যাঁদের দণ্ডি কাটতে দেখা যায় তাঁদের মধ্যে একজন এই শিউলি মার্ডি। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ্তা চক্রবর্তীর। পরে তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি প্রশাসনিক পদ থেকেও সরিয়ে দেয় দল। এরপর দফায়-দফায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক যাতে কোনওভাবেই হাতছাড়া না হয় তখনই থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করছিল শাসক শিবির।
একসময় গোফানগর অঞ্চলটি ছিল বামদের দুর্গ। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের দুর্গের দখল নেয় তৃণমূল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল দখল করে। গত একুশে বিধানসভায় এই অঞ্চল থেকে লিড দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয় লাভ করবে এবং পঞ্চায়েত দখল নেবে বলে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী শিউলি মার্ডি।
তৃণমূলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পালটা সরব হয়েছে বিজেপি। আদিবাসী মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই বলেই জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এমন করে আদিবাসীদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”
Be the first to comment