অগ্রিম ভাড়া নিয়েও বিশেষ ট্রেন বাতিল করে শান্তি পায়নি, তৃণমূলের “দিল্লি চলো” কর্মসূচিকে বিজেপি এতটাই ভয় পেয়েছে যে, এবার বিমান বাতিল করার খেলায় নেমেছে তারা। রবিবার একটি বিমানে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত সাংগঠনিক জেলার ১২০ জন তৃণমূল সমর্থকের দিল্লিগামী যাত্রীবাহী বিমান আচমকা বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, একশো জনের উপর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের দিল্লি অভিযান আটকানো হল। বিমান সংস্থাগুলির উপর প্রভা খাটাতে শুরু করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
রবিবার সন্ধে ৬টা ৪৫ মিনিট দমদম বিমানবন্দর থেকে দিল্লির বিমান ধরার কথা ছিল দলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার-সহ তৃণমূলের শতাধিক নেতা-কর্মীর। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগে জানা গেল, সেই বিমানটি বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, ব্যবস্থাপনায় সমস্যার জন্য বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু বিকল্প কোনও ব্যবস্থার কথা সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়নি। এতেই রয়েছে চক্রান্তের গন্ধ।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপি যতই চক্রান্ত করুক, সমস্ত বাধার পাহাড় পেরিয়ে আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লির বুকে বাংলার গরিব মানুষের বঞ্চনার প্রতিবাদের ঝড় উঠবেই। ট্রেনের পর বিমান বাতিলের ঘটনা প্রমাণ করে তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে নোংরা ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কিন্তু গরিব মানুষের হকের টাকা আদায়ে কোনও বাধাই তৃণমূলের প্রতিবাদ-ধর্ণা-আন্দোলনকে আটকাতে পারবে না।
এনিয়ে এক্স হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। কেন্দ্র ও বিজেপিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, কর্মসূচি আটকাতে যা খুশি করুন, যথাসময়ে যথাযোগ্য জবাব দেওয়া হবে। বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ”জেনে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, প্রযুক্তিগত কারণে একটা বিমান বাতিল করে দেওয়া হল। বোঝাই যাচ্ছে, এর মধ্যে অন্য কারণ আছে।”
Be the first to comment