বিধানসভা ভোটের পর আরও একবার একই পথ। কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটে প্রার্থী বাছতে বায়োডেটা চাইল তৃণমূল। একেবারে খোলামেলাভাবে বাইপাসের ধারে অস্থায়ী তৃণমূল ভবনে পুরভোটের জন্য প্রার্থীদের বায়োডেটা জমা দেওয়া যাবে। যে কোনও বয়সের যে কোনও ব্যক্তিগত পরিচয়ের ব্যক্তি তৃণমূল ভবনে গিয়ে নিজের সচিত্র পরিচয় সমেত বায়োডেটা জমা দিয়ে আসতে পারবে। এই প্রসঙ্গেই আরও একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে, এই বায়োডেটা বাক্সে নিজেদের নথি জমা দিয়ে গিয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলরও।
বিধানসভা ভোটে অবশ্য বায়োডাটা জমা নেওয়ার বাক্সের সঙ্গে আরও দু’টি বাক্স রাখা ছিল অনুদান জমা নেওয়ার। একটি ‘বন্ড’, আরেকটি চেক জমা দেওয়ার বাক্স। তবে পুরভোটের ক্ষেত্রে এবার আর অনুদানের বাক্স রাখা হচ্ছে না। থাকছে স্রেফ বায়োডেটার বাক্স। পাঁচদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে বায়োডাটা জমা নেওয়া।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বাক্সে জমা পড়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো বায়োডাটা। সময়সীমা ধরা হয়েছে ভোট ঘোষণা পর্যন্ত। সেসব নাম আপাতত তালিকাভুক্ত হচ্ছে। গোটা প্রক্রিয়া মিটে গেলে সমস্ত আবেদনপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করবে শীর্ষ নেতৃত্বই।
এর মধ্যে সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল, তৃণমূলের অসংখ্য যুবনেতা ছাড়াও বায়োডাটা জমা দিয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের একাধিক প্রাক্তন কাউন্সিলরও। সেক্ষেত্রে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিয়ে তাঁরা ভোটে দাঁড়াতে চান। যদিও তাঁদের কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, আদৌ তৃণমূল তাঁদের প্রার্থী না করলে সেক্ষেত্রে দলে তাঁদের অবস্থান নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে।
পুরভোটে দলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া যদিও শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রাথমিক স্ক্রিনিং একপ্রকার সারা হয়ে গিয়েছে পুজোর আগেই। তাতে বিদায়ী ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের মধ্যে কে কেমন, সেই ‘তকমা’-সহ প্রাথমিক রিপোর্ট জমাও পড়ে গিয়েছে দলে। বিদায়ী এই ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের ভাবমূর্তি কেমন, তার ভিত্তিতে এবার প্রার্থী বাছতে চলেছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকছে কম এবং অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। বায়োডাটা ঘেঁটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সেই বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে। তবে তৃণমূল ভবনে গিয়ে বায়োডেটা যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে নানা বয়সের ব্যক্তি রয়েছেন।
Be the first to comment