কেশপুরে গোষ্ঠীকোন্দলের জের। দলবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হল কেশপুরের ১০ নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা এজাহার আলিকে। সোমবার গভীর রাতে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে একথা ঘোষণা করা হয়৷ ঘোষণা করেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আশিফ সুদাইত৷ শাসকদলের এই পদক্ষেপকে দল বাঁচানোর চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ ৷
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই কেশপুরের শাঁকপুর, গরগজপোঁতায় গোষ্ঠীসংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এই ঘটনার পরেই গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেইমতো সোমবার রাতে শেখ এজাহার আলিকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে দলের তরফে।
ঘাটালের সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘কেশপুর ব্লকের শাঁকপুর এবং গরগজপোঁতায় সাম্প্রতিককালে যে গণ্ডগোল হয়েছে, অনুসন্ধান করে জানা গিয়েছে, সেখানে ১০ নম্বর কেশপুর অঞ্চলের সভাপতি এজাহার আলি তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ৷ এটা প্রমাণিত হয়েছে৷ তাই ঘাটাল সংগঠনের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে আমাদের সমস্ত নেতৃত্বকে এবং সমর্থকদের জানাচ্ছি, দল থেকে এজাহার আলিকে আমরা বহিষ্কার করছি ৷ কেউ তাঁর সঙ্গে যেন কোনও রকম সম্পর্ক না রাখে।’’
তাঁর সংযোজন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দল কখনও কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না ৷ এমনকী, দল সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে, এমন কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না ৷ তাই আমরা এজহার আলিকে দল থেকে বহিষ্কার করলাম ৷ আজ থেকে তিনি আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নন ৷ দল তাঁর সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখবে না ৷
মঙ্গলবার সকালেই খড়গপুরে আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ পরিদর্শনে গেলে সাসংদ দিলীপ ঘোষকে কেশপুরের তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ৷ প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা ওদের দলের ব্যাপার ৷ দলে এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর দুর্নীতি, তাই দলটাকে বাঁচানোর একটা চেষ্টা চলছে ৷
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠছিল ৷ এবার সেই গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগে দলের এক দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল শাসকদল ৷ কেশপুরের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত এজাহার আলিকে বহিষ্কার করে, দলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক না রাখার বার্তা দিলেন ঘাটালের সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ৷
Be the first to comment