নিশ্চিত হার বুঝে পঞ্চায়েত ভোটে সকাল থেকেই হিংসার রাস্তা বেছে নেয় সম্মিলিত বিরোধীরা। তবে দিনের শেষে গণতন্ত্রের জয়। গোটা রাজ্যে মাত্র ৬০টি বুথে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আরও ৬০ হাজার বুথে উৎসবের মেজাজে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “বিরোধীরা চেয়েছিলেন যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট না হয়। ৬০ বুথে সমস্যা হয়েছে৷ ৬১ হাজারের বেশি বুথ গোটা রাজ্যে। যদিও এটা না হলেই ভালো হত। এর মধ্যে মেজর ৮ থেকে ৯টি বুথে এই গন্ডগোল হয়েছে। বিরোধীদলের সবাই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল? বিএসএফ-এর ভূমিকা নজরে এসেছে। তারা প্রভাব খাটিয়েছেন কোন দলকে ভোট দিতে হবে? কোনও মৃত্যু কাম্য নয়। অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে৷ অনেক উত্যক্ত করা হয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন তাঁরা অধিকাংশ তৃণমূলের।”
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস-শুভেন্দু আগে থেকেই প্ররোচনা দিয়েছেন। লাঠি, বাঁশের ছবি দিয়েছেন। আর তার পরিণাম আজকের ঘটনা। পুরনো স্মৃতিকে জাগাতে চাইছে তারা”।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, ”এত ছাপ্পা ভোট হলে বা ভোট লুঠ হলে তো এতক্ষণে ৯০ শতাংশের উপর ভোট হয়ে যেত। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভোট শতাংশ ৫০ শতাংশ। বিয়ে করলে আদালতটা ওর শ্বশুর বাড়ি হত। যেখানে খুশি যাক। যেখানে যেখানে ৪৯ জন নিয়ে প্রচার করেছে সেখানেও হারছে। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। ওনার স্বভাব হয়ে যাচ্ছে আদালতে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ বিরোধীদের তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আর বিজেপির পুরনোরা শুভেন্দুর নেতৃত্বকে তালা দিয়েছে। ২০১৮ সালে যা বদনাম হয়েছিল, সেই সব জেলার দায়িত্ব ছিল শুভেন্দুর হাতে। এবার দেখুন প্রাণ গেছে তৃণমূলের।”
Be the first to comment