ভয়াবহ বন্যার কবলে অসমের লক্ষাধিক মানুষ৷ এই কঠিন সময়ে তাঁদের পাশে না দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র সরকারের গদি ওল্টানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির পাঁচতারা হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা৷ ওই পাঁচতারা হোটেলেই রয়েছেন শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বহু বিধায়ক৷ তৃণমূলের অভিযোগ, বন্যায় জলের তলায় ডুবে রয়েছে অসমের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ এমন পরিস্থিতিতে হিমন্ত বিশ্বশর্মা ব্যস্ত মহারাষ্ট্রের বিধায়ক কেনাবেচার কাজে৷
অসমের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে এদিন টুইট করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা মেরে টুইটে অভিষেক লেখেন, ‘আমি চাইব, মহারাষ্ট্রের সরকার ফেলে দেওয়ার বদলে বন্যায় দুর্গতদের নিয়ে যেন বেশি চিন্তা করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা৷ রিমোট কন্ট্রোল সরকারের অগ্রাধিকার কোনটা তা স্পষ্ট হয়ে গেল৷’
এদিন অসম তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি রিপুন বোরার নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা গুয়াহাটির ওই পাঁচতারা হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান৷ এক সংবাদ সংস্থাকে রিপুন বলেন, ‘এবারের ভয়াবহ বন্যায় রাজ্যের ২০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মহারাষ্ট্র সরকার ফেলে দেওয়ার কাজে বেশি ব্যস্ত৷’ মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ে শিবসেনা৷ সেই উদ্ধব ঠাকরে দলের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা অসমে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছেন৷ কিন্তু অসম কংগ্রেসের এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল৷ এদিকে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিস এসে হোটেলের সামনে থেকে তৃণমূল কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যায়৷ সেই সময় পুলিসের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়৷ অসম পুলিসের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন রিপুন৷
সোমবার শিবসেনা নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রের ২৬ জন বিধায়ক উধাও হয়ে যায়৷ পরে তাঁদের খোঁজ মেলে গুজরাতের সুরাটে৷ বুধবার সুরাট থেকে বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে চলে যায় গুয়াহাটি৷ শিন্ডের দাবি, এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে আবার জোট করতে হবে শিবসেনাকে৷ এতেই সঙ্কট তৈরি হয় মহারাষ্ট্রে৷ মুখ্যমন্ত্রী পদ হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের৷ যদিও শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেন, ২০ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন৷
Be the first to comment