বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া অভিযুক্তদেরও গ্রেপ্তার চাই, সিবিআইকে তোপ তৃণমূলের

Spread the love

চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। সিবিআই-ইডির পক্ষপাতিত্ব চলবে না। এই দাবিতে আজ, সোমবার পথে নেমেছিল তৃণমূল। কাঁথি, হলদিয়ার পাশাপাশি কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ধরনা দেয় দলের নেতা-কর্মীরা। ছিল স্ট্রিট কর্নারও। সেই মঞ্চ থেকেই দাবি উঠল. বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া অভিযুক্তরা-সহ চিটফান্ড মামলার সকল যড়যন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

কলকাতায় সিবিআই-ইডির অন্যতম দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ধরনা দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। হাজির ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুণাল ঘোষ, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ, বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়রা। তাঁদের একযোগে অভিযোগ, সিবিআই-ইডির তদন্তকে প্রভাবিত করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করতেই তদন্তকারী এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিনের মঞ্চ থেকে ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, “দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যাদের ধরা হয়নি তাদের বিজেপির জন্য ধরা হয়নি। বেছে বেছে তৃণমূলের নেতাদের খোঁচা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপিতে গেলেই ওয়াশিং মেশিন। আর কাউকে ডাকা হয় না। এর কৈফিয়ত বিজেপিকে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আধিকারিকদের প্রশংসা করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বলেন, সিবিআই আধিকারিকরা জানেন কারা ষড়যন্ত্রী। কাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু গ্রেপ্তার করা হয় না। তাঁর দাবি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করতেই এসব করা হয়। বিজেপি চলে গেলেই তদন্তের বাইরে চলে যায় অভিযুক্ত। এরপরই সম্মিলিতভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপিতে আশ্রয় নেওয়া অভিযুক্ত সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। পক্ষপাতিত্ব চলবে না।

একই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজভবনে রাজ্যেপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলের ৮ প্রতিনিধি। নেতৃত্বে থাকবেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়াও সেই দলে থাকবেন কুণাল ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, অর্জুন সিং সায়নী ঘোষ, ফিরোজা বিবি-সহ অন্যরা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কথায় কথায় বিজেপি নেতারা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন। এবার পালটা বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে ধনকড়ের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*