সিবিআই-এর গ্রেফতারি নিয়ে এ বার তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই দাঁড়াল সিপিআইএম

Spread the love

সিবিআই-এর গ্রেফতারি নিয়ে এ বার তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই দাঁড়াল সিপিআইএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তৃণমূল সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এই পদক্ষেপকে আকারে ইঙ্গিতে ‘প্রতিহিংসাপরায়ণতা’ বলেই উল্লেখ করেছেন।

নারদাকাণ্ডে সোমবার সকালে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় তৃণমূল সরকারের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরও দুই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। এই দু’জোড়া গ্রেফতারির পর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন। সিবিআই-এর পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে এ দিন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে লেখা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে এবং নজর অন্য দিকে ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ করেছে। চার হেভিওয়েট রাজনীতিকের গ্রেফতারি পরিষ্কারভাবে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও কটাক্ষ করা হয়। তবে এর মহামারি পরিস্থিতিতে শাসকদলের কর্মী সর্মথকদের বিক্ষোভ এবং জমায়েতের নিন্দা করে বামেরা। সিপিএমের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই মুহূর্তে করোনার মোকাবিলা করাই প্রধান কাজ। রাজ্যের মানুষ যে বিজেপি চায় না সেটা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকেও মনে করিয়ে দিতে চেয়ে লেখা হয়েছে, দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে বিজেপির মতো ভয়ঙ্কর শক্তির মোকাবিলা করা যায় না।

প্রসঙ্গত, গোটা বিষয়টি বামেদের জোটসঙ্গী অধীর চৌধুরীকেও এ দিন মুখ খুলতে শোনা গিয়েছিল। তিনি এ দিন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই নারদকাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। আমার বক্তব্য খুবই সামান্য। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার যেন বাংলার কেউ না হয়। কাউকে ধরব, কাউকে ছাড়ব সিবিআই এই নীতি গ্রহণ করতে পারে না।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*