সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(জন্ম : ২৬শে নভেম্বর, ১৮৯০— মৃত্যু : ২৯শে মে, ১৯৭৭) একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
.
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সুনীতিকুমার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৯০৯ সালে ৩য় স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। অতঃপর প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১১ সালে ইংরেজিতে সম্মানসহ বি.এ শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকার করেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ শ্রেণিতে ১ম স্থান অর্জন করেন।
.
অধ্যাপক তারাপুরওয়ালা’র কাছে আবেস্তা অধ্যয়ন করেন। বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে ৩ খণ্ডের দি অরিজিন এন্ড ডেভেলপম্যান্ট অব দ্য বেঙ্গলি ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রন্থখানি রচনা করে অসাধারণ বিদ্যাবত্তার পরিচয় প্রদান করেন।
.
অন্যান্য রচনাবলি হলো : বেঙ্গলি ফোনেটিক রিডার, কিরাত জনকৃতি, ভারত-সংস্কৃতি, বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা, পশ্চিমের যাত্রী, ইউরোপ ভ্রমণ, জাতি সংস্কৃতি সাহিত্য, ভারতের ভাষা ও ভাষা সমস্যা, সংস্কৃতি কী, দ্বীপময় ভারত, রবীন্দ্র সঙ্গমে, শ্যামদেশ ইত্যাদি।
.
১৯২৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চারজন ভ্রমণসঙ্গীর একজন হয়ে সুনীতিকুমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে যান। এই সময় তিনি ভ্রমণ করেন বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম ও সিঙ্গাপুর। “যাত্রী” গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ এই ভ্রমণের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন।
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।
রামশরণ শর্মা
[জন্ম – ২৬ নভেম্বর, ১৯১৯, মৃত্যু – ২০ অগষ্ট, ২০১১]।তিনি ছিলেন প্রাচীন ভারত ইতিহাসচর্চার এক প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিত্ত্ব। শিক্ষক ও ইতিহাসকার হিসেবে তাঁর অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষ্য রয়েছে তাঁর লেখা শতাধিক গ্রন্থে। পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ইতিহাস এর অধ্যপনার পাশাপাশি তিনি পড়িয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় এর মতো প্রতিষ্ঠানে। ভারতীয় ইতিহাস রিসার্চ কাউন্সিলের তিনি ছিলেন প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান। মার্কসীয় বীক্ষায় প্রাণিত হয়ে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস অনুসন্ধান ও রচনার যে ধারা ডি ডি কোসাম্বীর মত ঐতিহাসিক ‘ভারতীয় ইতিহাসচর্চার ভূমিকা’র মতো বইতে তৈরি করে দিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে ইরফান হাবিব, রোমিলা থাপার এর মতো রামশরণ শর্মার মত ইতিহাসবিদরা তাকেই আরো প্রসারিত করেছেন। রামশরণ শর্মার লেখা বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হল • প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক চিন্তা ও প্রতিষ্ঠান • প্রাচীন ভারতে শূদ্র • ভারতের প্রাচীন ইতিহাস • আর্যদের সন্ধানে • ভারতের সামন্ততন্ত্র • আদি মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজ • প্রাচীন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস • ভারতে নগর অবক্ষয় অন্তজ মানুষকে ইতিহাস অনুসন্ধানের কেন্দ্রে স্থাপন করে তাঁর লেখা ‘প্রাচীন ভারতে শূদ্র’(১৯৫৮) ইতিহাসচর্চায় একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
.
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য।
অর্জুন রামপাল
(জন্মঃ ২৬ নভেম্বর, ১৯৭২),
তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, মডেল এবং টেলিভিশান উপস্থাপক। তিনি বলিউডের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। ২০০১ সালে পিয়ার ইশক অর মোহাব্বাত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রাভিনয়ে অভিষেক ঘটে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রামপাল ফিল্মফেয়ার বেস্ট মেল ডেব্যু এর মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি দিল হ্যায় তুমহারা, দিল কা রিশতা, অসম্ভব, ইয়াকিন, ওম শান্তি ওম, রক অন!!, হাউজফুল, রা ওয়ান প্রভূতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রক অন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অর্জুন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার – সহ অভিনেতা এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। অর্জুনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম চেজিং গণেষা ফিল্মস।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।
মীরা নন্দন
জন্মঃ ২৬ শে নভেম্বর ১৯৯০
তিনি একজন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী। মালায়ালাম ভাষার সিনেমায় তিনি বহু ছবিতে কাজ করছেন। তিনি তাঁর অভিনয়ে কাজ শুরু করেন টিভিশো তে সঞ্চালনার কাজ দিয়ে।
.
কেরালা কাফে, সিনিয়ারস, স্বপ্না সঞ্চারি, লোকপাল, রেড ওয়াইন, কাদাল, ব্ল্যাক ফরেস্ট, গোল্ড কয়েন, বাল্মিকী, কারেন্সী ইত্যাদি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।
তথ্য সংগ্রহেঃ মাসানুর রহমান
Be the first to comment