পর্যটনের ভরা মরশুম। পাহাড়ে বুকিং ফুল। অথচ ঘটল বিপত্তি। প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ভ্রমণ এখন কার্যত মাটি। অনেকেই ভেবেছিলেন যে টয় ট্রেনে সমতল থেকে পাহাড়ে উঠবেন। কিন্তু, তা আর হল কোথায়? প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধসের জেরে বুধবার বন্ধ ছিল টয় ট্রেন পরিষেবা। বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকছে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং টয় ট্রেন সাফারি। যেভাবে পাহাড়ে একের পর ধস পড়ছে তাতে টয় ট্রেন চালালে যাত্রি সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার কার্শিয়াং, গয়াবাড়ি সহ বেশকিছু জায়গায় টয় ট্রেন লাইনে ধস নেমেছে। সেগুলি মেরামত করে এবং পরবর্তীতে করোনার সংক্রমণ খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ায় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেন পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। কিন্তু, ফের তাল কাটল এই সাফারি পরিষেবার। দু’দিনের প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ের অবস্থা দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছেন রেল কর্তারা। এখন টয় ট্রেন লাইনে বড় ধস নামায় ফের কয়েক সপ্তাহের জন্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের আধিকারিকেরা।
তবে এখনও পর্যন্ত পাহাড়ে টয় ট্রেন লাইনে বড় ধস নামেনি। কয়েক জায়গায় ছোট ছোট ধস নেমেছে। যে কারণে বৃষ্টি কমলে আগামীতে পরিস্থিতি বিচার করে টয় ট্রেন চালানো হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর একে মিশ্র বলেন, ‘বুধবার টয় ট্রেন চালানো হয়নি। বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকছে। ধস সরানোর কাজ শেষ হলে তারপর ট্রায়াল রান করে শিলিগুড়ি-দার্জিলিং টয় ট্রেন চলবে। তবে দার্জিলিঙে জয় রাইড, রেড পাণ্ডা সাফারি ও শিলিগুড়ি থেকে জঙ্গল সাফারি চলবে।
তবে ধসের জেরে সমতল থেকে পাহাড় টয় ট্রেন পরিষেবা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফের ক্ষতির মুখে পড়তে হল বলে জানান রেল আধিকারিকরা। তবে পর্যটকদের চাহিদার কথা ভেবে দ্রুত যাতে ফের এনজেপি থেকে টয় ট্রেন চালানো শুরু করা যায় সে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে তিস্তা সহ বিভিন্ন নদীর। আর তার জেরে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ঘর-বাড়ি ছেড়ে নদী-বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে এলাকাবাসী। উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে NDRF।
Be the first to comment