অভিষেকর নামে তোলাবাজি, দল বহিষ্কার করার পরই তৃণমূলের যুব সম্পাদককে গ্রেফতার করল পুলিশ

Spread the love

রোজদিন ডেক্স: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগে রাজ্য যুব সম্পাদকের পদ থেকে তরুণ তেওয়ারিকে বহিষ্কার করার পরই বড়বাজারের ওই তৃণমূল যুব নেতাকে গ্রেফতার করল পোস্তা থানার পুলিশ।
তরুণ তিওয়ারির বিরুদ্ধে হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে।
হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা সচিন পাটিল নামে ওই ব্যবসায়ীর মনোহরপুকুর পুকুর রোডে একটি অফিস আছে। ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসা সংক্রান্ত একটি মামলা বড়বাজার থানায় চলছিল। ব্যবসায় আইনত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস পেয়ে পোস্তার যুব তৃণমূল নেতা তরুণ তিওয়ারির সঙ্গে যোগাযোগ করেন সচিন পাটিল। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৬ লক্ষ টাকা চান বহিস্কৃত ওই যুব সম্পাদক।
অভিযোগকারী সচিন পাটিল সংবাদমাধ্যমকে জানান, “তরুণ তিওয়ারি আমাকে বলেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর ছবিও আমাকে দেখান। আমাকে ৬ লক্ষ টাকা দিতে বলেন। গতকাল আমার মা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। বলেন, টাকা দিলে মাকে ছাড়া হবে। রাতে টাকা নিয়ে যাই। তিন লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছি।” এরপরই পোস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সচিন পাটিল। এই খবর চাউর হতেই তরুণ তিওয়ারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় যুব তৃণমূল কংগ্রেস। দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদকের পদ থেকে সরানোর কথা ঘোষণা করেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।


এক্স হ্যান্ডেলে দলের সভানেত্রী তথা সাংসদ সায়নী ঘোষ লিখেছেন, ‘আমাদের দল তৃণমূল ও তৃণমূল যুব কংগ্রেস দুর্নীতি ও দলবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলে। আমরা বাংলার মা, মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ’। এরপর গ্রেফতার করা হয় তোলাবাজিতে অভিযুক্তকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৭(৭), ৩০৮(৫), ৩৫১ (৩), ৭৯ এবং ৩(৫) ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় তরুণের দুই সঙ্গী রাহুল পুরোহিত এবং রাহুল সিং।
তবে, তরুণ তিওয়ারি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যে টাকা পাটিল তাকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তা তিনি গ্রহণ করেননি এবং এই অভিযোগের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে। তরুণের দাবি ছিল, পাটিল তার বিরুদ্ধে ফাঁসানোর জন্যই তাকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন, তাঁর কথায়, ‘জানতে পারি ব্যবসায়ী প্রতারক। টাকা ফেরত দিয়ে দিই। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ ঘটনার সঙ্গে দলেরই কেউ জড়িত বলেও মনে করেন তৃণমূল নেতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*