ত্রিপুরায় ৪ কেন্দ্রেই ভোটদানে বাধা বিজেপির, উপনির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা

Spread the love

ত্রিপুরা উপনির্বাচনে নৈরাজ্য অব্যাহত। সাংবাদিকদের ওপর হামলা, ভোটারদের হুমকি, পোলিং এজেন্টদের আটকানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে ৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি থাকলেও পরে গিয়ে উত্তজনা ছড়ায় । একের পর এক অভিযোগ সামনে আসছে। এদিন ভোটগ্রহণের তিন ঘণ্টার মধ্যেই সেই উত্তজনার ছবি সামনে আসে।

তৃণমুলের অভিযোগ,  বিজেপি কর্মীরা চারটি ভোট কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে জমাট বেধে রয়েছে। একাধিক বুথ দখল করছে  তারা। সেসব ছবি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়লে তাঁদের উপর নির্বিচারে হামলা করছে। ভোটারদের ভয় দেখানোর জন্য তাদের ব্যক্তিগত ফোনও ছিনিয়ে নিচ্ছে বিজেপি-সমর্থিত গুন্ডারা।

এই ঘটনায় টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রের এক চিত্র সংবাদকর্মী শুভম দেবনাথ আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গুন্ডারা লোকজনকে ভোট দিতে দিচ্ছিল না। সেই সময় ঘটনাটি আমি ক্যামেরায় তোলার করার চেষ্টা করি। তখনই আমার ওপর প্রায় ২০-৩০ জন লোক হামলা চালায়।  তারা আমার ফোন, প্রেস কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মোটরসাইকেল ভেঙে দেয়। যদিও পড়ে সেই ভিডিও ফুটেজ হাতে এলে দেখ গিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা আগরতলা কেন্দ্রের ১১ বুথ নম্বরের বাইরে জড়ো হয়ে ফোন ছিনতাই করছে। ভোটারদের ভয় দেখছে। এমনকি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এই অভিযোগ মেনে নেয়নি বিজেপি। তাঁদের পাল্টা উত্তর, তৃণমূলের লোকেরা এই কাজ করেছে।

একইভাবে সুরমা ও আগরতলা কেন্দ্রেও উত্তেজনার ছবি ধরা পড়েছে। অভিযোগ, সুরমার বুথ নং ২৩-এ, বিজেপি কর্মীরা বিরোধী প্রার্থীর বুথ এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। শুধু তাই নয়, আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালী, সুরমা এবং যুবরাজনগর থেকেও ইভিএম ত্রুটির খবর পাওয়া গিয়েছে।  যুবরাজনগরের তৃণমূলের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দেবনাথ অভিযোগ করেছেন, বিজেপির গুন্ডারা বুথ-স্তরের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। গোটা এলাকায় বিজেপির বাইক বাহিনী টহল দিচ্ছে। যারা সাধারণ মানুষদের ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে দিচ্ছেন না।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন। টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্র তাঁরই বাড়ির কাছে। তা সত্ত্বেও জনসাধারণ সমস্যায় পড়ছেন। তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ভোট দিতে আসা মানুষজন। এমনকি অনেককে ভোটের লাইন থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই সব অভিযোগ নস্যাৎ করে আজ সকালে মানিক সাহা দাবি করেছেন, তাঁর কেন্দ্র ছাড়াও বাকি ৩ কেন্দ্রে শান্তিতে ভোট হচ্ছে। কোনও অশান্তির ছবি ধরা পড়েনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*