মধ্যরাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কয়লাখনিতে। খনির ভিতরেই আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২৫ জনের। এখনও প্রায় ১২ জন আটকে রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তুরস্কের উত্তরে অবস্থিত বার্টিন প্রদেশে। কৃষ্ণসাগরের তীরে আমাসরায় একটি কয়লাখনির ভিতরে শুক্রবার বিস্ফোরণ হয়। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফাহরেতিন কোচা জানান, বিস্ফোরণের সময় খনির ভিতরে প্রায় ১১০ জন কাজ করছিলেন। এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক কর্মীই খনির ৩০০ মিটার গভীরে ছিলেন। আচমকাই বিস্ফোরণ হয়, আগুনে পুড়ে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের খবর মেলার পরই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। শেষ খবর পাওয়া অবধি, ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। খনির ভিতরে কমপক্ষে আরও ১২ জন বা তার বেশি সংখ্যক কর্মী আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশের শক্তিমন্ত্রী ফাতিহ ডনমেজ় জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে ফায়ার্ড অ্যাম্প বা কয়লাখনির ভিতরে থাকা এক ধরনের বিষাক্ত ও দাহ্য গ্যাসের কারণেই ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইপ এরডোগান আজ, শনিবার ঘটনাস্থলে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতে বিস্ফোরণের খবর পেয়েই টুইট করে লেখেন, “আমরা আশা করছি মৃতের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। কয়লাখনির ভিতরে আটকে থাকা কর্মীদের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা।”
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়লাখনির একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কয়লাখনির মূল প্রবেশপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভিড় জমিয়েছেন নিজেদের প্রিয়জনের খোঁজে, সকলের মুখেই উদ্বেগের ছাপ। বিশাল সংখ্যক উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে ৫১টি অ্যাম্বুলেন্স, তৈরি করা হয়েছে ৪টি এমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টার। অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্যের জন্য।
Be the first to comment