কমপক্ষে তিন হাজার শিব সৈনিক আগেই স্পেশাল ট্রেনে থানে ও নাসিক থেকে রওনা হয়েছিলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্য। আর শনিবার দুপুরে এলেন সেনা প্রধান। রবিবার রয়েছে ভিএইচপি ও আরএসএসের হুঙ্কার র্যালি ও ধর্ম সভা। তারাও আনছে কমপক্ষে ২ লাখ কর্মী। মোতায়ন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিস। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সবেমিলিয়ে রবিবার যুদ্ধের পরিস্থিতি অযোধ্যায়। রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে বহুদিন আগেই এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এনিয়ে তিনি একাধিকবার বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। শিবসেনার এখন স্লোগান, পহলে মন্দির, ফির সরকার। আর এদিন অযোধ্যায় এসেই মোদী সরকারকে হুঙ্কার দিয়ে উদ্ধব বলেন রামমন্দির নির্মাণের কাজ কবে শুরু হবে সরকার জবাব দিক। বহু দিন, বহু মাস, বহু প্রজন্ম পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু মন্দির ওখানে বানানো হলেও ডেট ঘোষণা হচ্ছে না।
শনিবার দুপুরে অযোধ্যায় এসে পৌঁছন উদ্ধব। তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী রেশমী এবং পুত্র আদিত্য। শনি ও রবিবার দুদিন অযোধ্যার বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে শিবসেনার। রাজ্য ২৮৮টি জায়গায় আরতির আয়োজন করেছে তারা। রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থলে বিশেষ পুজো দেবেন উদ্ধব। আড়াইটে নাগাদ তিনি দেখা করবেন সাধুদের সঙ্গে। এদিন রামজন্মভূমি ন্যাসের প্রেসিডেন্ট মহন্ত নিত্যানন্দ দাসের সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। উদ্ধব বলেন তিনি এখানে এসেছেন অযোধ্যায় ঘুমিয়ে থাকা রাবণকে জাগাতে। যে বিগত ৪ বছর ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে। এদিন সরযু নদীতে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে সন্ধ্যা আরতিতে যোগদান করেন ঠাকরে।
এদিকে, অযোধ্যায় ওই বিশাল জমায়েতের ফলে বহু মুসিলম শহর ছেড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবর। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাবরি মামলার বিবাদি ইকবাল আনসারি। অযোধ্যার ডিজিপি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার কোনও অবণতি হবে না।
Be the first to comment