ডামাডোলের মধ্যেই ঔরঙ্গাবাদের নাম পরিবর্তনে সায় উদ্ধব মন্ত্রিসভার

Spread the love

বৃহস্পতিবারের আস্থা ভোটের ভাগ্য ঝুলে সুপ্রিম কোর্টে৷ রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সিদ্ধান্তকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে টিম ঠাকরে৷ বুধবার সেই মামলার শুনানি চলছে৷ ঠিক তখনই মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের দুটি শহরের নাম পরিবর্তনে ছাড়পত্র দিল মহারাষ্ট্র সরকার৷ ওই সিদ্ধান্তের পরে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের নাম হতে চলেছে সম্ভাজিনগর৷ ধারাশিব নাম রাখা হবে ওসমানাবাদ শহরের৷

শিন্ডে গোষ্ঠীর কাছে আচমকা হিন্দুত্বের বার্তা তুলে ধরতে ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের প্রস্তাব কবর খুঁড়ে তুলে এনেছেন শিবসেনা প্রধান। এটা ঠিক, ওই দুই শহরের নাম পরিবর্তনের দাবি শিবসেনার দীর্ঘদিনের৷ কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ এনসিপি এবং কংগ্রেসের বাধায় এবং জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছিল উদ্ধব ঠাকরের৷ অবশেষে বুধবার দুই শহরের নাম পরিবর্তনে ছাড়পত্র দিল শিবসেনার নেতৃত্বাধীন মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, সংকটময় পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের আম শিব সেনিকদের আবেগকে আঁকড়ে ধরতেই মোক্ষম সময়ে হিন্দুত্বের তাস খেলেছে উদ্ধবের শিবসেনা৷

চলতি মাসে উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছিলেন, বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করবেন৷ ঔরঙ্গবাদের নাম বদলে সম্ভাজিনগর রাখবেন৷ গত ৮ জুন ঔরঙ্গাবাদে একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘হিন্দুত্ব আমাদের প্রাণে রয়েছে৷ মিথ্যা কথা বলা আমাদের হিন্দুত্ব নয়৷ বালা সাহেব ঠাকরে আমাদের মিথ্যা কথা বলতে শেখায়নি৷ উনিই ঔরঙ্গাবাদের নাম সম্ভাজিনগর রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ সেই প্রতিশ্রুতি আমি রাখব৷’

১৯৮৮ সালে শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে ঘোষণা করেন এই শহরের নাম পরিবর্তন করে সম্ভাজিনগর করা হবে। তিনিই প্রথম ধ্বনি তোলেন ‘খান ইয়া বান’ (তির-ধনুক, যা শিবসেনার প্রতীক)। ১৯৯৫ সালে ঔরঙ্গাবাদ পুরসভা প্রথম সরকারিভাবে নাম বদলের একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। এরপর মনোহর যোশির আমলে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। কিন্তু, কংগ্রেস-এনসিপি সরকার এসে সেই বিজ্ঞপ্তি তুলে নেয়। ফের দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওই বিজ্ঞপ্তি নতুন করে জারি করেন। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের বিতর্ক চলছে। কিন্তু, এখন সরকার বদলের মুখে খড়কুটোর মতো নতুন করে ঔরঙ্গাবাদের নাম বদলের রাজনীতির জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*