শান্তিনিকেতন, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শহর। নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছিলেন এই স্থানেই। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিশান রেড্ডির তরফে এই বছর শুরুতেই শান্তিনিকেতনকে আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা সংস্থা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। আজ সরকারিভাবে ইউনেস্কোর তরফে সেই ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় এই নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলেও জানা গিয়েছিল।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জায়গাটির বর্ণনা অনুসারে, “শান্তিনিকেতন, কলকাতার একশত মাইল উত্তরে আজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় শহর হিসেবে পরিচিত। মূলত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা নির্মিত একটি আশ্রম ছিল সেখানে, যেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যে কেউ এসে এক পরম ঈশ্বরের ধ্যানে সময় কাটাতে পারে। এটি পরে নোবেলজয়ীর বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্রের ভিত্তি হয়ে ওঠে।”
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে কেন্দ্র প্রথম শান্তিনিকেতনের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্য ট্যাগ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হওয়ার কারণ যদিও জানা যায়নি। ২০২১ সালে আবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা একটি নতুন ‘ডসিয়ার’ তৈরি করে ইউনেস্কোতে জমা দেওয়া হয়েছিল।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হল শান্তিনিকেতন। ভারত সরকার কর্তৃক দেওয়া একটি ফাইলের ভিত্তিতে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস (ICOMOS), যেটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা এই সুপারিশ করেছিল। এই বছর ২৫শে বৈশাখ এর আগেই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিশেন রেড্ডি একটি টুইটে বলেছিলেন “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে ভারতের জন্য এটি দারুণ খবর। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ICOMOS দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে”। দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে শান্তিনিকেতনের বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া বলেই মনে করছে সকলে।
Be the first to comment