উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সোমবারই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে এই সমস্ত মামলার শুনানি হবে একসঙ্গে। আগামী মঙ্গলবার ২০ জুলাই মামলাগুলির একসঙ্গে শুনানি করবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ তুলে নেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত ইন্টারভিউয়ের তালিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আদালত তালিকায় সন্তুষ্ট। তাই নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হল। কোনও আবেদনকারীর কোনও অভিযোগ থাকলে তা কমিশনের কাছে জানাতে পারেন। কমিশনকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের শুনানি করতে হবে। আর কেউ কমিশনের সিদ্ধান্তে খুশি না হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।’
যদিও আদালতের এই নির্দেশন মেনে নিতে পারছেন না মামলাকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, কমিশনের ওপর কোনও ভরসা নেই তাঁদের। যে কমিশনকে কয়েক দিন আগেই ‘অপদার্থ’ বলেছে আদালত, তার ওপর কী করে মামলাকারীদের ভবিষ্যত ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে? কমিশনের পক্ষে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগের নিরপেক্ষ বিচার সম্ভব নয়। এতে শুধু সময় নষ্ট হবে। বরং ফের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত আগে বেনিয়মের অভিযোগের বিচার করুক। তার পর হোক নিয়োগ।
Be the first to comment