বেকারত্ব, অসহিষ্ণুতা, মূল্যবৃদ্ধি, অগ্নিবীরের মতো হাজারো ইস্যু বিরোধীদের হাতে। কিন্তু ভোটবাক্সে ফের সফল সেই বিজেপিই। দেশের মোট ১০ আসনের উপনির্বাচনের মধ্যে ৫টিই গেল বিজেপির দখলে। ২টি আসনে জিতল কংগ্রেস। একটি করে আসন জিতল আম আদমি পার্টি, শিরোমণি অকালি দল (অমৃতসর) এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস। যে দুই রাজ্যে জয় পাওয়াটা বিজেপির জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু ছিল, সেই দুটি রাজ্যেই জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
ত্রিপুরার ৪ বিধানসভার মধ্যে ৩টিতেই জিতেছে বিজেপি। টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে এই প্রথমবার নির্বাচনে লড়েছেন ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা। কংগ্রেসের আশিস সাহাকে ৬ হাজারের বেশি ভোটের ব্যধানে হারিয়েছেন তিনি। ৩০ বছরে প্রথমবার যুবরাজনগরে হারল সিপিএম। এই কেন্দ্রটিতেও জয় পেয়েছে বিজেপি। বামেরা নেমে গিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সুরমা কেন্দ্রটিতেও বড় ব্যবধানে জিতেছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন কংগ্রেস এবং তিপ্রা মথা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। তবে তিন আসনে জিতলেও বিজেপির জন্য অস্বস্তির কাঁটা হয়ে থাকল আগরতলা কেন্দ্রটি। ওই কেন্দ্রে বিজেপির হাত থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন কংগ্রেসের সুদীপ রায়বর্মণ।
ত্রিপুরার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও অনবদ্য ফল করেছে বিজেপি। অখিলেশের দুর্গ ছারখার করে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের দুটি লোকসভা আসনই দখল করার পথে বিজেপি। ঘটনাচক্রে এই দু’টি আসনই সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। দু’টি আসনের একটি আজমগড়। যেখান থেকে ২০১৯ সালে অখিলেশ যাদব নিজে সাংসদ হন। অপরটি থেকে সাংসদ হন দলের হেভিওয়েট নেতা আজম খান। উপনির্বাচনে এই দুটি আসনই যাচ্ছে বিজেপির দখলে। রামপুর থেকে এগিয়ে বিজেপির ঘনশ্যাম সিং সোধী। আর আজমগড়ে জিততে চলেছেন বিজেপির দীনেশ লাল যাদব বা ‘নিরহুয়া’।
অন্য উপনির্বাচনগুলির মধ্যে সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ফলাফল হয়েছে পাঞ্জাবে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের ছেড়ে যাওয়া সঙ্গরুর লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছে আম আদমি পার্টি। আপ প্রার্থীকে হারিয়ে চমক দিয়েছেন শিরোমণি অকালি দল অমৃতসরের প্রার্থী। বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে শাসকদলের হেরে যাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বাকি তিন আসনের মধ্যে দিল্লিতে জিতেছে আম আদমি পার্টি। ঝাড়খণ্ডে জিতেছে শাসক জোটের সঙ্গী কংগ্রেস। অন্ধ্রপ্রদেশেও বিরাট জয় পেয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি।
Be the first to comment