স্বামী জীবিত। তারপরেও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন স্ত্রীরা। এমনই অবাক ঘটনা সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলায়।
সূত্রের খবর, সীতাপুর জেলার বৎসগঞ্জ গ্রামে এই ঘটনা প্রথম নজরে আসে। দিন দশেক আগে গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ কুমার তাঁর স্ত্রীর ফোনে একটি মেসেজ দেখেন। সেখানে লেখা ছিল তাঁর স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার টাকা ঢোকানো হয়েছে। কে এই টাকা ঢোকালো তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে যান সন্দীপ। সেখানে গিয়েই তো চক্ষু চড়কগাছ।
ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয়, জেলায় বিধবা মহিলাদের উন্নতির জন্য যে প্রকল্প আছে, সেই প্রকল্পের আওতাতেই এই টাকা ঢোকানো হয়েছে সন্দীপের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। কিন্তু স্বামী তো জলজ্যান্ত বেঁচে। অবাক হওয়ার তখনও কিছু বাকি ছিল। বাড়ি ফিরে সন্দীপ জানতে পারেন, শুধু তাঁর স্ত্রীই নন, তাঁর শাশুড়ি ও বৌদির অ্যাকাউন্টেও এই বিধবা ভাতার টাকা ঢুকেছে। যেখানে তাঁর শ্বশুর ও দাদা বেঁচে আছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই গ্রামের ২২ জন মহিলার অ্যাকাউন্টে বিধবা ভাতার টাকা ঢুকছে। অথচ সবার স্বামীই বেঁচে।
এক সংবাদমাধ্যমের সামনে সন্দীপ বলেন, ” আমার স্ত্রীর ফোনে প্রথম আমি এই মেসেজ দেখি। তারপর ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি আমি বেঁচে থাকার পরেও বিধবা ভাতার ৩ হাজার টাকা পেয়েছে আমার স্ত্রী। তারপর আমি আরও জানতে পারি, আমার শ্বাশুড়ি ও বৌদির অ্যাকাউন্টেও বিধবা ভাতার টাকা ঢুকেছে। তারপরেই আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে এই ঘটনার কথা জানাই। আমার অভিযোগও নথিভুক্ত করি। কিন্তু তারপরেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ”
এই ঘটনা সামনে আসার পর জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা কোনও মতেই এই ঘটনাকে লঘুভাবে দেখছেন না। মুখ্য জেলা আধিকারিক সন্দীপ কুমার জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সন্দীপ কুমার। জেলাশাসক সীতা বর্মাও জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Be the first to comment