সারা দেশে এখন দুটো জিনিসই চলছে। এক, করোনা সংক্রমণের লাগামছাড়া বাড়বাড়ন্ত। দুই, করোনা টিকা নিয়ে হাহাকার। প্রতিষেধকের সংকট কার্যত হাহাকারের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে দেশে। প্রবল ঠাঁটাপোড়া রোদে, গিজগিজে ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে ঘন্টার পর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও মিলছে না টিকা। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের জন্যও হা-হুতাশ করতে হচ্ছে মানুষকে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
গত জানুয়ারি মাসে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সার্বিক টিকাকরন প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়ে সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, সাফাইকর্মীদের ও ষাটোর্দ্ধ ব্যাক্তিদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় মার্চ মাসে। দ্বিতীয় দফায় ৪৫ থেকে ৬০ বছরের ব্যাক্তিদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়। তৃতীয় দফায় মে মাস থেকে দেশ জুড়ে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে সংকট এখন চরমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার প্রতিষেধক তখন প্রথমে দেওয়া শুরু হয়েছিল তখন মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার অনীহা কাজ করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়। তার জন্যই টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকটের আরও একটা টিকার উৎপাদন। মানুষের তুলনায় টিকার উৎপাদন অনেক কম হচ্ছে বলেই এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
Be the first to comment